সোমবারই রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার অন্তিম দিন। তার আগে রবিবার শ্রীনগরের ঐতিহাসিক লাল চকের ক্লক টাওয়ারে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে এনিয়ে ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই পতাকা উত্তোলনের অনুষ্ঠানে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সহ অন্যান্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
রবিবার শ্রীনগরে মৌলানা আবুল কালাম আজাদ রোডে প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দফতরে ৩০ মিনিট বিরতি নেন কংগ্রেস নেতা। এরপরই লাল চকে যান তিনি। স্থানীয় ভাষায় ওই লাল চকের ক্লক টাওয়ারকে বলা হয় ঘণ্টা ঘর। সেখানেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাহুল গান্ধী। সঙ্গে ছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও জম্মু-কাশ্মীরের কংগ্রেস নেতারা।
এদিন কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছিল লাল চক এলাকা। শনিবার রাত থেকেই লাল চক যাওয়ার সমস্ত রাস্তা সিল করে দেওয়া হয়। পিটিআই সূত্রে খবর নিরাপত্তা রক্ষার জেরে গাড়ি চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়। নিরাপত্তার জন্য দোকান, বাজারও বন্ধ রাখা হয়।
গত পাঁচ মাস ধরে চলেছে ভারত জোড়ো যাত্রা, সোমবার (৩০ জানুয়ারি) জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে শেষ হবে এই যাত্রার। মোট চার হাজার কিলোমিটার হেঁটেছেন রাহুল। যাত্রা শেষের অনুষ্ঠানটি শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে কংগ্রেস বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি আশা করছে। ১১ ই জানুয়ারি, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে ৩০ জানিয়ারি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য সারা দেশে ২৪ টি দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
ভারত জোড়ো যাত্রার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে যোগ দেবে না বলেই জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি এবং টিডিপি। তবে উপস্থিত থাকবে এম কে স্ট্যালিনের ডিএমকে, শরদ পাওয়ারের এনসিপি, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, জনতা দল (ইউনাইটেড), শিবসেনা, সিপিআই, কেরালা কংগ্রেস, ভিসিকে, জম্মু ও কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিডিপি এবং ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা।
আরও পড়ুন: Pathaan: রাষ্ট্রপতি ভবনে বিশেষ স্ক্রিনিং! ‘পাঠান’-এ মুগ্ধ সরকারি আধিকারিকরাও