রাজস্থানে নির্ভয়া কাণ্ডের ছায়া। গণধর্ষণের পর কিশোরীর যৌনাঙ্গে ঢুকিয়ে দেওয়া হল ধারালো অস্ত্র। সংকটজনক অবস্থায় কিশোরী ভরতি হাসপাতালে। অস্ত্রোপচার হয়েছে। তবে তার অবস্থা যথেষ্ট আশঙ্কাজনক।
পুলিশ জানিয়েছে, বিশেষভাবে সক্ষম ওই নাবালিকাকে তিলজারা উড়ালপুলের নীচে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। অভিযোগ, গণধর্ষণের পর নাবালিকার গোপনাঙ্গে ধারালো অস্ত্র ঢুকিয়ে দিয়েছেন অভিযুক্তরা। তার পর তাকে উড়ালপুল থেকে নীচে ফেলে দেওয়াও হয়েছিল।
মঙ্গলবার নাবালিকাকে উদ্ধার করে অলওয়ারের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে পারেননি চিকিৎসকেরা। সেখান থেকে জয়পুরের জেএন লোক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বুধবার আড়াই ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার হয়েছে। সেখানেই চিকিৎসাধীন নির্যাতিতা। তবে তার অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, নাবালিকার শরীরে অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন অঙ্গ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। গোপনাঙ্গ থেকে ধারাল অস্ত্রও উদ্ধার করেছেন চিকিৎসকেরা।
হাসপাতালে কিশোরীর সঙ্গে দেখা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী এবং নারী ও শিশুকল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী। চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা। কিশোরীর পরিবারকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। রাজ্যের পরিস্থিতি ঠিক কী, তা এই ঘটনা প্রমাণ করল বলেই কটাক্ষ তাঁর। বিজেপি প্রতিনিধিদলও এদিন নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে।
গণধর্ষণ কাণ্ডে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। একাধিক টিম গঠন করা হয়েছে বলেই জানান আলোয়ারের পুলিশ সুপার তেজস্বিনী গৌতম। ১৫০টি সিসিটিভি খতিয়ে দেখে ৩-৪ জন সন্দেহভাজনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তাদের জেরাও করা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত গণধর্ষণ সম্পর্কে কোনও সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি বলেই দাবি তদন্তকারীদের।
নাবালিকার পরিবারকে ৬ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি। নাবালিকার পরিবারের লোকেরা দিনমজুরের কাজ করেন। ওই নাবালিকার ভাই ও বোন আছে।