বিচারপতিদের রাজনীতিতে যোগ ‘আটকাতে’ বিল আসছে রাজ্যসভায়। জানা গিয়েছে, বাদল অধিবেশনে আলোচনার জন্য মোট ২৩টি প্রাইভেট মেম্বার্স বিল রাজ্যসভায় আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম বিচারপতি সংক্রান্ত এই বিল।
দ্য কনস্টিটিউশন বিল, ২০২৪-এ বলা হয়েছে, যাঁরা কোনও সাংবিধানিক পদে থাকবেন তাঁরা অবসর নেওয়ার পরে রাজনীতিতে যোগ দিতে পারবেন না। সেই তালিকায় থাকবেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক-বিচারপতি, নির্বাচন কমিশনাররা। সংবিধানের ১২৪, ১৪৮, ৩১৯, ৩২৪ ধারা সংশোধন করে এবং ২২০এ, ৩০৯এ ধারা এনে সাংবিধানিক পদাধিকারীদের রাজনীতিতে যোগদান আটকানোর প্রস্তাব দিয়েছেন রাজ্যসভার আরজেডি সাংসদ।
বিচারপতিদের রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। লোকসভার আগেই হোক আর পড়ি সে প্রবণতা কিন্তু বন্ধ হচ্ছে না। কাকতালীয় কিনা স্পষ্ট নয়, তবে বেশিরভাগ বিচারপতি আজকাল চাকরিটা স্বেচ্ছাবসর নিয়ে কিংবা অবসরের ঠিক পরেই রাজনীতিটা যোগদানের ইচ্ছাপ্রকাশ করছেন। তাদের অধিকাংশই বিজেপি কিংবা আরএসএসের প্রতি নিজেদের দুর্বলতা প্রকাশ করেছেন। ফলে বহুবার প্রশ্ন উঠেছে এই মানসিকতা নিয়েই কি তারা বিচার কার্যও করেছেন, উত্তরে অবশ্য অনেকেই বলেছেন তারা বিচার করার সময় সেসব দেখেননি। কিন্তু বিরোধীরা বলছে, বিচার করার সময় তারা গেরুয়া দলের প্রতি তারা অনেকেই আপন পক্ষপাত প্রদর্শন করেছেন।
স্বাভাবিকভাবেই এই বিলের কথা শোনার পর বঙ্গের রাজনৈতিক মহলে যে নামটা সবার আগে আলোচিত হচ্ছে তাহলে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলী । ২০১৮ সালের ২রা মে কলকাতা হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন অভিজিৎ । ২০২০ সালের ৩০ শে জুলাই থেকে স্থায়ী বিচারপতির পদ পান জাস্টিস গাঙ্গুলি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর রায় নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয়। বেশ কয়েকটি রায় বাতিলও করে সুপ্রিম কোর্ট। শেষ পর্যন্ত লোকসভা নির্বাচনের আগে আচমকাই কলকাতা হাই কোর্ট থেকে পদত্যাগ করেন বিতর্কিত বিচারপতি। যোগ দেন বিজেপিতে (BJP)। গেরুয়া শিবিরের টিকিটে জিতে তমলুক থেকে সাংসদও হয়েছেন।