বুধবার রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর জবাবি ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফের একবার কংগ্রেস সহ ইন্ডিয়া জোটের পরাজয় নিয়ে আক্রমণ করেন। এদিন রাজ্যসভার কাজ শুরুর মুখেই সংসদের উচ্চকক্ষের চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় হাথরাসের ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেন। এদিনও ফের মোদী সংবিধান নিয়ে পরোক্ষে ঠেস দেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে।
রাজ্যসভার বক্তৃতার শুরুতে সংবিধানের ৭৫ তম বর্ষের কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। পরে বললেন, ‘‘বিরোধীরা হাতে সংবিধানের পুস্তিকা নিয়ে লাফালাফি করছে। অথচ আমি যখন ২৬ নভেম্বর সংবিধান দিবস চালু করার কথা বলেছিলাম, তখন এই বিরোধীরাই আপত্তি তুলেছিলেন। বলেছিলেন, ‘২৬ জানুয়ারি আছে তো! আবার সংবিধান দিবসের কী দরকার?’’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তৃতার মাঝেই ‘ঝুট ঝুট’ রব তুললেন বিরোধীরা। মল্লিকার্জুন খড়্গে-সহ বিরোধী নেতারা কাগজ দেখিয়ে মোদীর বক্তব্যের বিরোধিতা করেন। পরে ওয়াক আউটও করেন বিরোধীরা।
মোদী গত ১০ বছরে এনডিএ সরকারের সাফল্য তুলে ধরেন। রাজ্যসভায় উপস্থিত বিরোধী নেতাদের বিদ্বান বলে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ওরা রিমোট কন্ট্রোলের সরকার চালাতে অভ্যস্ত। কাজ নয়, অপেক্ষায় বিশ্বাস করে। কিন্তু, আমাদের সরকার কাজে বিশ্বাস করে। পরোক্ষে তিনি কংগ্রেসের পরিবারবাদী রাজনীতিকে ব্যঙ্গ করেন।মোদীর দাবি, এই তৃতীয় এনডিএ সরকার ভারতকে বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পৌঁছে দেবে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বললেন, ‘‘গত দশ বছরে যা হয়েছে তা হল স্রেফ ‘অ্যাপেটাইজ়ার’ (মূল খাবারের আগে হালকা ক্ষুধাবর্ধক খাবার এবং পানীয়), ‘মেন কোর্স’ (পেট ভরানো খাবার) তো এ বার শুরু হবে।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বললেন, ‘‘আগামী পাঁচ বছরের লড়াই হবে দারিদ্রের বিরুদ্ধে লড়াই। আগামী পাঁচ বছর হবে তারই নির্ণায়ক বর্ষ। যখন দেশ বিশ্বের তৃতীয় অর্থনীতি হবে, তখন ভারতীয়দের জীবনেরও পরিবর্তন হবে। বৈষয়িক স্ফুরণ হবে।’’