Ram Mandir: 4,000 lights worth Rs 50 lakh stolen from paths leading to Ram Mandir

Ram Mandir: ভক্তিপথ থেকে উধাও ৫০ লক্ষের বাতিস্তম্ভের আলো, জানে না পুলিশ-প্রশাসন

রামমন্দিরকে ঘিরে বিরাট আড়ম্বর ও অর্থযজ্ঞের মাঝে মন্দির কর্তৃপক্ষের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে উঠেছে বেলাগাম চুরি। এবার প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার জিনিসপত্র চুরি গেল অযোধ্যার ভক্তিপথ থেকে।

জানা গিয়েছে, রামমন্দির যাওয়ার পথে রাস্তার দুধারে বাঁশের কারুকাজ করা বাতিস্তম্ভের সঙ্গে আলো লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে রাতের অন্ধকারে কে বা কারা সেই বাতিস্তম্ভের প্রায় ৪ হাজার আলো চুরি করে নিয়ে গিয়েছে। এটাই শেষ নয়, রাম পথের পাশাপাশি ভক্তিপথ (Bhaktipath) থেকে চুরি হয়েছে গোবো প্রজেক্টর। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার বেশি জিনিসপত্র চুরি গিয়েছে।  ‘অযোধ্যা ডেভেলপমেন্ট অথারিটি’এই লাইট ও প্রজেক্টর লাগানোর বরাত দিয়েছিল ‘যশ এন্টারপ্রাইজ’ ও ‘কৃষ্ণা অটোমোবাইলকে।’ এই দুই সংস্থা মিলিতভাবে রামপথে ৬৪০০টি বাঁশের কারুকাজ করা লাইট এবং ভক্তি পথে ৯৬টি গোবো প্রজেক্টর লাগিয়েছিল।

প্রবল বিতর্কের মাঝেও ভোট মাথায় রেখে তড়িঘড়ি রামমন্দির উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই তাড়াহুড়োর ফল ভুগতে হয় মন্দিরকে। উদ্বোধনের পর প্রথম বর্ষায় ছাদ চুঁইয়ে জলে ভরে যায় রামলালার গর্ভগৃহ। সম্প্রতি ফৈজাবাদ থেকে অযোধ্যা পর্যন্ত রাস্তাটি রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে সম্পূর্ণ নতুন করে তৈরি করা হয়েছিল। দুটি বেসরকারি কোম্পানিকে দিয়ে লাগানো হয় অত্যাধুনিক বাতি।  সেই রাস্তা এবার বর্ষার শুরুতে ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। তা নিয়ে দেশ ব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। চাপের মুখে যোগী আদিত্যনাথ সরকার তদন্তের নির্দেশ দিতে বাধ্য হয়।

এবার ব্যস্ত একটি রাস্তার দু’পাশের বাতি কীভাবে উধাও হয়ে গেল এফআইআর হওয়ার চারদিন পরও কোনও কিনারা করতে পারেনি অযোধ্যার রাম জন্মভূমি থানা।  অযোধ্যা পুলিশ জানিয়েছে, ওই রাস্তার পর্যাপ্ত সংখ্যায় সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে। এখন প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি সিসি ক্যামেরাগুলি অচল ছিল।