রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা উৎসবে যাবেন না সুব্রহ্মণ্যন স্বামী। এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে তিনি এ কথা জানান। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এই প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া নিয়েও বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি।
একটি পোস্টে সুব্রহ্মণ্যন স্বামী বলেন, ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠার ছয়দিনের পুজোতে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে অংশ নিতে পারবেন না। কারণ তিনি স্ত্রীকে নিয়ে রাম মন্দিরে যাবেন না। চার শক্তিপীঠের শঙ্করাচার্যরাও এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। প্রাণ প্রতিষ্ঠা উৎসবের ষষ্ঠ দিন অর্থাৎ ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় উপস্থিত থাকছেন না একজন শঙ্করাচার্যও। ফলে আমিও আর সেদিন রাম মন্দিরের উদ্বোধনে অংশ নেব না। বরং আগামী ১৭ এপ্রিল রাম নবমীর দিন ভগবান রামের জন্মদিনে আমি অযোধ্যায় গিয়ে প্রার্থনা জানিয়ে আসব।’
উল্লেখ্য, অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন ঘিরে কেন্দ্রের সরকার তথা বিজেপির সঙ্গে শঙ্করাচার্যদের সংঘাত আরও তীব্র হয়েছে। সনাতন ধর্মীয় রীতি মেনে রাম মন্দিরে রামলালার ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’ হচ্ছে না বলে শঙ্করাচার্যদের সুরে সরব হয়েছে নির্মোহী আখড়াও। পুরীর শঙ্করাচার্য স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী দু’দিন আগেই অভিযোগ করেছিলেন, রাম মন্দির ঘিরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আচরণ ‘উন্মাদের লক্ষণ’। অযোধ্যায় আগামী ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধনে তিনি যাবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
শঙ্করাচার্য নিশ্চিলানন্দ সরস্বতী আরও বলেন, ‘শঙ্করাচার্যদের নিজস্ব মর্যাদা রয়েছে। এটা কোনও অহংকারের বিষয় নয়। কী আশা করা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজ হাতে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন আর আমরা বসে বসে দেখব আর বাইরে বসে হাততালি দেব? নিরপেক্ষ সরকার মানে সমস্ত ঐতিহ্য এবং পরম্পরার জলাঞ্জলি দেওয়া নয়।’ উত্তরাখণ্ডের জ্যোতিষপীঠের শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী, গুজরাটের দ্বারকা, ওডিশার পুরীর গোবর্ধনপীঠ এবং কর্নাটকের শ্রীঙ্গেরির প্রধান রাম মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠান বয়কট করেছেন।