সঙ্গী বিবাহিত জেনেও সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়া এবং পরবর্তীতে সেই সঙ্গীর বিরুদ্ধেই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ বৈধ হতে পারে না। এক মহিলার আনা অভিযোগ খারিজ করে এমনই জানাল কেরল হাই কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি প্রত্যাহারকে অপরাধ বলা যায়। কিন্তু দু’জনের সম্মতিক্রমে শারীরিক সম্পর্ক ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় ধর্ষণকে প্রতিষ্ঠিত করে না।
তরুণীর বয়ানের ভিত্তিতে আদালতে পুলিশ জানায়, ওই যুবকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পালন না করার অভিযোগ রয়েছে। তাঁর সঙ্গে অনেক মেয়ের সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এমনকি, তরুণী দাবি করেছেন, বিবাহবিচ্ছেদের আশ্বাস দিয়ে বিশ্বাস অর্জন করে শারীরিক সম্পর্ক করতেন যুবক। সব পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালতের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, প্রায় এক দশকের বেশি সময় ধরে সম্পর্ক চালিয়ে গিয়েছেন তরুণী।
আরও পড়ুন: Video: এরপর তো তুমি কন্ডোম চাইবে! ছাত্রী সস্তায় স্যানিটারি ন্যাপকিন চাইতেই ফুঁসে উঠলেন আমলা
এত দিন তিনি এ নিয়ে কোনও অভিযোগ করেননি। ফলে হঠাৎ এখন তাঁর অভিযোগের অন্য কোনও উদ্দেশ্য থাকতে পারে। তা ছাড়া তরুণী পুলিশকে যে বয়ান দিয়েছেন সেটাকে সত্য হিসাবে ধরলে বলা যায়, সম্পর্কের বিষয়ে যুবকের গোপনীয় তথ্য জানতেন তরুণী। ফলে প্রশ্ন ওঠে, এর পরেও কেন সম্পর্ক চালিয়ে নিয়ে গেলেন তরুণী? এত দিন কি তিনি সমর্থন করেছিলেন?
আদালতের মতে, এই ধরনের দম্পতির মধ্যে যে কোনও সম্পর্ককে শুধুমাত্র প্রেম এবং আবেগের ফল বা কারণ হিসাবে আখ্যায়িত করা যেতে পারে। এর মধ্যে বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতির যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। ফলে মামলাকারী যুবকের বিরুদ্ধে করা সব অভিযোগই বাতিল করা হল। এই মামলায় তাঁর কোনও দোষ দেখছে না আদালত।
আরও পড়ুন: ২৪০ কিলোমিটার বেগে তাণ্ডব টাইফুন নরু’র ! ভারতেও জারি সতর্কতা