৯ অক্টোবর, কয়েকদিনের রোগভোগের পর প্রয়াত হন শিল্পপতি রতন টাটা। শিল্প জগতের মহীরুহের প্রয়াণের পর থেকেই কৌতূহল ছিল, কী হবে তাঁর বিপুল সম্পত্তির? এবার প্রকাশ্যে এল তাঁর উইলের কথা।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, রতন টাটার ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। তিনি যে উইল তৈরি করে গিয়েছেন, তাতে লিখেছেন তাঁর প্রিয় পোষ্য টিটোর যেন যত্নের কোনও অভাব না হয়। রতন টাটার পোষ্য জার্মান শেফার্ডটি যতদিন বাঁচবে, তার সবরকমের সেবা-যত্নের নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন তিনি। ৬ বছর আগে টিটোকে নিজের ঘরে নিয়ে এসেছিলেন রতন টাটা। সম্পত্তির অংশ ভাগ দিয়েছেন তাঁর দীর্ঘদিনের রাঁধুনি ও পরিচারকদের।বাদ দেননি শেষ বয়সের ছায়াসঙ্গী, প্রিয় বন্ধু শান্তনু নাইডু – কে।
রতন টাটার উইল অনুযায়ী টিটোর দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁর দীর্ঘদিনের বাবুর্চি রাজন শ-কে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, রতন টাটার উইলে তাঁর বাটলার অর্থাৎ প্রধান গৃহকর্মী সুব্বাইয়ারও নাম রয়েছে। রাজন শ এবং সুব্বাইয়া গত ৩০ বছর ধরে রতন টাটার সঙ্গে রয়েছেন।
শেষ বয়সে রতন টাটার ছায়াসঙ্গী, প্রিয় বন্ধু শান্তনুর স্টার্টআপ ‘গুডফেলোজ’-এ নিজের অংশীদারিত্ব যেমন ছেড়ে দিয়েছেন, তেমনই শান্তনুর বিদেশে পড়তে যাওয়ার খরচও পুরোটাই রতন টাটা নিজের সম্পত্তি থেকে দিয়ে গিয়েছেন।
পরিবারের মধ্যে নিজের ভাই জিমি টাটার জন্য যেমন সম্পত্তির একটি অংশ লিখে দিয়েছেন রতন টাটা তেমনই দুই সৎ বোন শিরিন ও ডিয়ানার জন্যও সম্পত্তি রেখেছেন। বাকি সম্পত্তি তিনি টাটা ফাউন্ডেশনের নামে করে দিয়েছেন।
কী কী সম্পত্তি রয়েছে রতন টাটার?
মুম্বইয়ের জুহু রোডে দোতলা একটি বাড়ি এবং আলিবাগে ২০০০ স্কোয়ারফুটের একটি বাংলো ছিল রতন টাটার। ব্যাঙ্কে ৩৫০ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট ছিল তাঁর। ১৬৫ বিলিয়ন ডলারের টাটা গ্রুপে মূল সংস্থা টাটা সন্সের ০.৮৩ শতাংশ অংশীদারিত্বও ছিল রতন টাটার নামে।
টাটা সন্সে রতন টাটার রতন টাটার যে অংশীদারিত্ব ছিল, তা রতন টাটা এনডাওমেন্ট ফাউন্ডেশনে হস্তান্তর করা হবে। টাটা গ্রুপের সংস্থাগুলিতেও রতন টাটার যে শেয়ার ছিল, তাও এই ট্রাস্টেই হস্তান্তর করা হবে।
রতন টাটার যে ২০-৩০টি লাক্সারি গাড়ি এবং কোলাবায় হালেকাই হাউস ছিল, তার ভবিষ্যৎ এখনও নির্ণয় হয়নি। তবে মনে করা হচ্ছে, গাড়িগুলি পুণে মিউজিয়ামে পাঠানো হতে পারে বা নিলাম করে দেওয়া হতো পারে। বম্বে হাইকোর্ট এই সমস্ত সম্পত্তির পর্যালোচনা করবে।