Rath yatra 2022 starts from today at puri

Rath Yatra 2022: পুণ্যভূমি পুরীতে আজ শুরু রথযাত্রা, সমুদ্রনগরীতে জনস্রোত

পুণ্যভূমি পুরী আজ কানায়-কানায় পূর্ণ। রথযাত্রা উপলক্ষে পুরীতে আজ ভক্তদের উপচে পড়া ভিড়। আজ থেকেই পুরীর রথযাত্রার শুরু। প্রাণের উৎসবে সামিল হতে পুরীতে আজ জনজোয়ার। দেশের নানা প্রান্ত থেকে ভক্তরা বাঁধভাঙা আবেগ নিয়ে পুরীতে হাজির হয়েছেন।

রথের রশিতে টান পড়ার আগে দেশবাসীকে টুইটে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আহমেদাবাদে জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দেশবাসীকে রথযাত্রার শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। সুস্বাস্থ্য এবং সমৃদ্ধি কামনা করেন তিনি।

আরও পড়ুন: Vice President Election: উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিন ঘোষণা, কবে বেঙ্কাইয়া নাইড়ুর উত্তরসূরি পাবে দেশ?

আজ ৫৬ পদ ভোগ রান্না করা হচ্ছে জগন্নাথ দেবের জন্য। জগন্নাথ দেবের প্রিয় বেশ কিছু পদ রান্না করা হচ্ছে। শাক, পিঠে, পায়েশ বিশেষ করে পাটিসাপটা, খাজা গজা কি নেই তাতে। ভোর থাকতেই শুরু হয়েছে বিভিন্ন পদের ভোগ রান্না।  জগন্নাথ দেবের উদ্দেশ্যে ভোগ নিবেদন করার পরেই বেলা একটা থেকে দেড়টা নাগাদ তিনি পান্ডু যাত্রা করে রথে চড়বেন এবারের বিশেষ আকর্ষণ সুভদ্রার রথের চাকা পদ্মধ্বজ।  এ বছরে বিভিন্ন ধরনের ফল-ফলাদি দিয়ে নতুন করে সাজানো হয়েছে রথ।

ইতিমধ্যেই রথযাত্রা শুরুর আগের নানা রীতি-রেওয়াজ পালন হয়েছে পুরীর মন্দিরে। জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রার রথ শ্রীমন্দিরের বাইরে রাখা হয়েছে। আজ থেকে পুরীতে রথযাত্রা শুরু। প্রতিবারের মতোই কড়া পুলিশি প্রহরার বন্দোবস্ত করেছে প্রশাসন। পুরীর মন্দির থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরেই রয়েছে গুণ্ডিচা মন্দির।

কথিত আছে, এটিই জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ি। পুরীর মন্দির থেকে রথ যাত্রা বেরিয়ে থামে এই গুণ্ডিচা মন্দিরেই। একটানা সাত দিন এই গুণ্ডিচা মন্দিরেই বোন সুভদ্রা ও ভাই বলভদ্রকে নিয়ে থাকবেন প্রভু জগন্নাথ। তারপর আবার তাঁরা ফিরে আসবেন পুরীর শ্রীমন্দিরে।

জগন্নাথ দেবের রথের নাম নন্দীঘোষ। যে দড়িটি দিয়ে প্রভু জগন্নাথের রথ টানা হয় তার নাম শঙ্খচূড় নাগিনী। বলভদ্রের রথের নাম হল তালধ্বজ এবং এই রথের রশি বাসুকী নাগ নামে পরিচিত। অন্যদিকে, সুভদ্রা দেবীর রথের নাম দেবদলন, ও এই রথের রশি স্বর্ণচূড় নাগ নামে পরিচিত।

আরও পড়ুন: জুবেইর গ্রেফতার হওয়ার পরই ‘উধাও’ হনুমান ভক্ত! টুইটারের জগতে অস্তিত্বই নেই অভিযোগকারীর