যুক্তি বা তথ্য ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রচারিত যে কোনও কিছুর উপর ভিত্তি করে কোনও মন্তব্য করার বিষয়ে সতর্ক করলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। আজ, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের নির্মম ধর্ষণ ও হত্যার মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই তরুণীর শরীরে পাওয়া ‘১৫১ গ্রাম বীর্য’ প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেন বিচারপতি।
বৃহস্পতিবার আর জি কর কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে স্টেটাস রিপোর্ট পেশ করেছে সিবিআই। কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য সরকারও এদিন রিপোর্ট জমা করেছে শীর্ষ আদালতে। তার পরেই দফায় দফায় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের প্রশ্নবাণের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকারের আইনজীবীকে। এফআইআর দায়ের করতে দেরি, এফআইআর দায়েরের আগেই ময়নাতদন্ত করিয়ে নেওয়ার মতো একাধিক প্রশ্ন তুলেছে শীর্ষ আদালত।
আর জি করে নির্যাতিতার শরীরে মিলেছে ১৫০ গ্রাম সিমেন! তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর পর থেকেই সোশাল মিডিয়ায় ঘোরাফেরা করেছে এই তথ্য। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে আর জি কর কাণ্ডের শুনানি চলাকালীনও এই প্রসঙ্গ তোলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। সেই প্রশ্ন শুনেই অবশ্য ভর্ৎসনা করেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। সাফ জানিয়ে দেন, সোশাল মিডিয়ায় কী আলোচনা হচ্ছে তার ভিত্তিতে আদালতে সওয়াল করা চলে না।
প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘আমাদের সামনে প্রকৃত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আছে এবং আমরা জানি, যে ১৫১ গ্রাম বলতে কী বোঝায়। অনুগ্রহ করে আপনারা নিজেরা এর যুক্তি তৈরি করতে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করবেন না।’