আরজিকর-কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-দেশ। রাজ্য পুলিশ থেকে, তদন্তের ভার গিয়েছিল সিবিআই-এর হাতে। হাইকোর্টে এই মামলা চলার মাঝেই, দেশের শীর্ষ আদালত স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে এই মামলায় হস্তক্ষেপ করে। মঙ্গলবার ছিল শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানি।
এদিন সকাল সাড়ে দশটার কিছু পরেই শুরু হয় শুনানি। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে ঘটনার শুনানি ছিল এদিন। প্রধান বিচারপতি সবার আগে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ঘটনা প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মৃতা চিকিৎসকের পরিচয় সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পাওয়া নিয়েও। প্রশ্ন ওঠে হাসপাতালের অধ্যক্ষ এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে।
প্রধান বিচারপতি জানান, ‘অভিযোগ উঠছে অধ্যক্ষ এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালাতে চেয়েছিলেন। এটা তো পরিষ্কার যে খুনের ঘটনা ঘটেছে।’ হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনায় প্রধান বিচারপতি উষ্মা প্রকাশ করে জানান, ‘পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যেও সাত হাজার লোক কীভাবে হাসপাতাল ভাঙচুর করতে পারে? স্বাধীনতা দিবসে এত বড় একটা ঘটনা ঘটে গেল। পুলিশ কী করছিল সেটা জানা দরকার।’
এরপরেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ দেয় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিবিআই – কে। অর্থাৎ, এখন থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সোজাসুজি রিপোর্ট করবে দেশের শীর্ষ আদালতে। সোমবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় তাঁর নির্দেশে বলেছেন, আর কাউকে এখন রিপোর্ট দিতে হবে না। আমাদের কাছেই তা পেশ করবেন। ২২ অগস্ট পরবর্তী শুনানির দিন সিবিাইকে প্রাথমিক রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে।
একই সঙ্গে শুনানিতে জানানো হয়, চিকিৎসকদের সুরক্ষা নজরে রেখে, গঠন করা হবে ৭ জনের জাতীয় টাস্ক ফোর্স। চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয়টি অনুসন্ধান করে দেখবে তারা। মহিলারা যাতে আরও বেশি করে কাজে যোগদানের উৎসাহ পান, সেদিকে নজর দেওয়ার কথা বলে আদালত। কোন কোন দিকে নজর দিতে হবে, তা নিয়েও দিকনির্দেশ করেছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। দেশ জুড়ে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা যাতে কাজে ফেরেন, সেই অনুরোধও করেন প্রধান বিচারপতি।
আগামী ২৩ অগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। এদিকে গত ১৪ অগস্ট হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনায় কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা নিয়েও ওই দিন রিপোর্ট দেবে রাজ্য।