RG Kar: Supreme Court asks protesting doctors to resume work by 5 p.m. on Sept. 10

RG Kar: মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে ফিরতেই হবে ডাক্তারদের, কড়া নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক খুনের প্রতিবাদে প্রায় একমাস ধরে কর্মবিরতি পালন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বিচার না মেলা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে গত রবিবার রাতে সাফ জানিয়ছিলেন তাঁরা। তবে এবার তাঁদের প্রতি কড়া বার্তা দিল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার আর জি কর মামলার শুনানির সময়ে শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরতে হবে চিকিৎসকদের। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে যদি তাঁরা কাজে না ফেরেন, তাহলে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করতে পারে রাজ্য।

এদিন আর জি কর মামলায়(RG Kar Case) দ্বিতীয় দফার শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রর ডিভিশন বেঞ্চে।  এদিনের শুরু থেকে বারবার রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিবাল বলেন, ডাক্তাররা কাজ করছেন না। তার ফলে গোটা রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ইতিমধ্যে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৬ লক্ষ মানুষ স্বাস্থ্য পরিষেবা পায়নি। বিশেষ করে হার্টের অসুখ, ক্যানসারের মতো রোগের জন্য সাধারণ মানুষ সংখ্যায় সরকারি হাসপাতালে আসেন। তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছেন।

আন্দোলনকারী ডাক্তারদের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী গীতা লুথরা। তিনি পাল্টা বলেন, জুনিয়র ডাক্তারদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ, মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ,  কলকাতা মেডিকেল কলেজে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে কারও অভিভাবক সরকারি চাকরি করলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে গুণ্ডারা। সুতরাং ডাক্তারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। তা ছাড়া সিনিয়র ডাক্তাররা চিকিৎসার কাজ করছেন। আন্দোলন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

কিন্তু তা শুনে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘মঙ্গবলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় দেওয়া হল। অন্য সিনিয়র চিকিৎসকরা কাজ করছে বলে আমরা করব না, এটা হতে পারে না। আমরা জানি কি ঘটছে। চিকিৎসকরা সিস্টেমের বাইরে নয়। কাজে যোগ দিতে হবে। রোগীদের পরিষেবা দিতে হবে।তাদের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা যাবে না। যদি কাজে যোগ না দেন তারপর পদক্ষেপ নেওয়া হলে কাউকে দায়ী করবেন না।’

প্রধান বিচারপতি ফের মনে করিয়ে দেন, ডাক্তাররা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করতে পারে না। সর্বোচ্চ আদালত তা সমর্থন করবে না। ডাক্তারদের কাজ রোগীদের পরিষেবা দেওয়া। তবে হ্যাঁ, মঙ্গলবারের মধ্যে কাজে যোগ দিলে জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না বা শাস্তিমূলক ভাবে ট্রান্সফার করা যাবে না।

প্রধান বিচারপতি বলেন, রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিবাল কথা দিয়েছেন, ডাক্তাররা মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যে কাজে যোগ দিলে সরকার কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে না। সুতরাং রেসিডেন্ট ডাক্তাররা এবার কাজে যোগ দিন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারেরা জানালেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন তাঁরা। তবুও, সব দিক খতিয়ে দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সব চিকিৎসককে নিয়ে একটি জেনারেল বডি মিটিংয়ের পর জানিয়ে দেওয়া হবে পরবর্তী কর্মসূচি।