ত্যু হয়েছে সাহারা কর্তা সুব্রত রায়ের। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকার পরে মুম্বইয়ে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর পর সেবির অ্যাকাউন্টে পড়ে থাকা সংস্থার ২৫ হাজার কোটির টাকারও বেশি অর্থ ফের আলোচনায় উঠে এসেছে।
একটা সময়ে সাহারা গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থায় প্রায় ১২ লাখ মানুষ কাজ করতেন। ভারতের অন্যতম বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ছিল এটি। ২০০৪ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতীয় রেলের পরে সর্বোচ্চ সংখ্যক কর্মী ছিল সাহারা গোষ্ঠীর। একটা সময়ে ভারতের ৯ কোটি মানুষ সাহারাতে বিনিয়োগ করেছিলেন। গোটা দেশের ১৩ শতাংশ পরিবারেরই কারও না কারও টাকা ছিল সাহারা গোষ্ঠীর কাছে। পরে অবশ্য আর্থিক তছরুপ মামলায় জেলে যেতে হয়েছিল সুব্রত রায়কে।
নিয়ম বহির্ভূত ভাবে টাকা তোলার মামলাটি গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের দোরগোড়ায়। সেই সময় শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, সাহরাকে সেবির নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে ২৫ হাজার কোটি টাকা জমা করতে হবে। সেই মতো সাহারার দুই রিয়েল এস্টেট সংস্থা সেই টাকা জমা করেছিল সেবির কাছে। সেই টাকা বিনিয়োগকারীদের ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ছিল সেবির। তবে সেই কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি সেবি। সুব্রতর প্রয়াণ নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিল সেই অর্থের ভবিষ্য়ৎ নিয়ে।
প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সুব্রত রায়। সেখানেই মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বুধবার লখনউয়ের সাহারা শহরে নিয়ে যাওয়া হবে দেহ। সেখানেই জানানো হবে শেষ শ্রদ্ধা। দীর্ঘদিন হাইপারটেনশন, ডায়াবিটিস এবং মেটাস্টেটিক ক্যানসারে ভুগছিলেন তিনি।