সমলিঙ্গ বিবাহ আইনের বৈধতা (Same Gender Marriage Law) সংক্রান্ত মামলা পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আগামী ১৮ এপ্রিল এই মামলার শুনানি হবে। গতকাল শীর্ষ আদালতে হলফনামা দিয়ে সমকামী বিবাহের বিরোধিতা করেছিল কেন্দ্র। সামাজিক কারণে বিরোধিতা, জানানো হয় কেন্দ্রের তরফে। যদিও সোমবার এই মামলাকে ‘মৌলিক গুরুত্বের’ বিষয় বলে উল্লেখ করে আদালত।
সমকামিতা নিয়ে অতীতে যুগান্তকারী রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেটা ২০১৮ সালে। ভারতে সমকামিতা অপরাধ নয়— শীর্ষ আদালতের এই রায়ে ‘এলজিবিটিকিউ’ সম্প্রদায়ের মানুষদের দীর্ঘ দিনের দাবি পূরণ হয়েছিল। এই রায়ের পর এ দেশে সমপ্রেমী মানুষরা অনেকটাই ‘স্বাধীন’ হয়েছেন বলে মনে করেন অনেকে। এমনকি, এ নিয়ে সমাজে ভ্রান্ত ধারণাও অনেকটা দূর হয়েছে বলে মনে করেন কেউ কেউ। আবার সমাজে তথাকথিত সমপ্রেমীদের গ্রহণযোগ্যতাও অনেকটা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: Gold: হলমার্কের নম্বর ছাড়া সোনার গয়না বিক্রি নিষিদ্ধ এপ্রিল থেকেই,জানুন বিস্তারিত
২০১৮ সালে সমকামিতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই সমলিঙ্গের বিবাহে আইনি স্বীকৃতির দাবি জোরালো হয়। যদিও কেন্দ্রের তরফে এ নিয়ে আপত্তির কথা জানানো হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, এই ধরনের বিয়ে ভারতীয় পারিবারিক সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ভারতীয় পরিবারের ধারণা হল স্বামী, স্ত্রী এবং তাঁদের সন্তান। স্পষ্ট করা হয়, “সামাজিক কারণে”ই সমলিঙ্গ বিবাহের বিরোধিতা করছে কেন্দ্র। আরও দাবি করা হয়, সমলিঙ্গের বিবাহ বৈধ হলে সাধারণ বিবাহ আইনের শর্ত লঙ্ঘিত হবে। বিঘ্নিত হবে বিবাহের সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং আইনগত এতদিনের ধারণা। যা কখনই উচিত নয়।
সোমবার এই মামলার ‘মৌলিক গুরুত্ব’ বিবেচনা করে তা পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, সাংবিধানিক অধিকার এবং যে কোনও আইন প্রণয়নের মধ্যে জটিলতা রয়েছে। সেকথা ভেবেই পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানো হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ মামলাটিকে।
আরও পড়ুন: Menstrual Blood: ‘পুজো’র জন্য ঋতুস্রাবের রক্ত বিক্রি করলেন স্বামী! পুলিশের দ্বারস্থ গৃহবধূ