বিহারে বালিকে ‘হলুদ সোনা’ বলা হয়৷ আর সেই ‘হলুদ সোনা’ দিয়ে কামাই ও হয় মোটা৷ নিজেদের কোটি কোটি টাকার রোজগারের যোগান যাতে থাকে তার জন্য বালি মাফিয়ারা কোনও কিছু করতেই পিছপা হন না৷ এই বালি মাফিয়াদের কুকীর্তির কথা ফের একবার প্রকাশ্যে এসেছে একটি ভাইরাল ভিডিও-র সুবাদে৷
ঘটনাটি সোমবারের। অনেক দিন ধরেই অবৈধ বালিপাচার এবং ওভারলোডিংয়ের অভিযোগ পাচ্ছিলেন জেলার খনন দফতরের আধিকারিকরা। সেই অভিযোগ পেয়ে সোমবার বিহারের বিহতা ব্লকে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিলেন জেলার বেশ কয়েক জন আধিকারিক। বিহতা থানার পুলিশও গিয়েছিল সেখানে। পুলিশ এবং সরকারি আধিকারিকদের দেখামাত্রই তাঁদের ঘিরে ধরে জনা চল্লিশের একটি দল।
পুলিশের সামনেই তদন্তকারী আধিকারিকদের ইট, লাঠি, পাথর দিয়ে মারা হয় । ৪০ জনের দলের হামলার মুখে পড়ে পিছু হটে পুলিশ। বেধড়ক মারধর করা হয় তদন্তকারী আধিকারিকদের। এই ঘটনায় বেশ কয়েক জন কনস্টেবলও আহত হয়েছেন। আহত সকলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: Sugar Price: ৬ বছরের সর্বোচ্চ উচ্চতায় চিনির দর, আরও বাড়তে পারে দাম
এক মহিলা ইনস্পেক্টরকে হাতের সামনে পেয়ে মারধর করে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়। তার পর একের পর এক লাথি, ঘুষি চলতে থাকে। এমনকি ইনস্পেক্টরকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। পুলিশ জানিয়েছে, যে মহিলা ইনস্পেক্টরকে মারধর করা হয়েছে, তাঁর নাম অনন্যা কুমারী। তিনি জেলার খনন দফতরের আধিকারিক। এ ছাড়াও মারা হয়েছে আর খনন আধিকারিক কুমার গৌরব এবং ইনস্পেক্টর সৈয়দ ফারহিনকে।
পটনার সিনিয়র পুলিশ সুপার (এসএসপি) রাজীব মিশ্র জানিয়েছেন, সোমবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৪৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৫০টি ট্রাক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।