গল্পে গোরু গাছে ওঠে। আবার ইতিহাসেও পাখির ডানায় বসে সফর করে মানুষ! কর্নাটকের হাইস্কুলের পাঠ্যক্রমে বিনায়ক দামোদর সাভারকরের উপর একটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করেছে রাজ্যের পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটি। আর তাতেই “ইতিহাস পুনর্লিখন” বিতর্কের সূত্রপাত।
কর্নাটকের অষ্টম শ্রেণির নতুন পাঠ্যসূচি অনুযায়ী তাতে ঢুকেছে বেশ কিছু নতুন পদ্য ও গদ্য। তারই মধ্যে ঠাঁই পেয়েছে সাভারকর সম্বন্ধে এই সমস্ত দাবিদাওয়া। অষ্টম শ্রেণির কন্নড় পাঠ্যবইয়ে লেখা হয়েছে, ‘সাভারকরকে যে সেলে রাখা হয়েছিল তাতে একটি চাবি ঢোকানোর মতো ফাঁকাও ছিল না। কিন্তু সেই সেলে প্রতি দিনই আসত বুলবুলি পাখি। সাভারকর তাদের পিঠে চেপে জেল থেকে বেরিয়ে প্রতি দিন মাতৃভূমি ঘুরে দেখতে আসতেন।’
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে সাভারকরের ভূমিকা নিয়ে আরএসএস এবং কংগ্রেসের মধ্যে বিরোধ বহু পুরনো। ইংরেজ কর্তৃপক্ষের কাছে সাভারকরের উপর্যপুরি ক্ষমাপ্রার্থনা করে চিঠি নিয়েও প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা। কর্নাটকের অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যে যে ভাবে সাভারকরকে চিত্রিত করা হয়েছে, তা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে কর্নাটকে।
আরও পড়ুন: Delhi Politics: অপারেশন পদ্ম? কেজরির বৈঠকের আগেই নিখোঁজ একাধিক AAP বিধায়ক
দ্য হিন্দুর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, অনুচ্ছেদটি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন একাংশের শিক্ষকরাও। তাঁরা বলেছেন, বইয়ে এটা এমন ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যেন এই ঘটনা “আক্ষরিক সত্য” এবং সাভারকর সত্যিই পাখির ডানায় বসে সফর করতেন। এই বইয়ে সাভারকারকে মহিমান্বিত করতে গিয়ে ইতিহাসের বিকৃতি ঘটনা হয়েছে। এমনি দাবি শিক্ষকদের।
উল্লেখ্য, হিন্দু মহাসভার নেতা ও ‘হিন্দুত্ব’ মতাদর্শের জনক বিনায়ক দামোদর সাভারকরকে তাত্ত্বিক গুরু বলে মনে করে বিজেপি-আরএসএস। তবে কংগ্রেস বারবারই মনে করিয়ে দেয়, মহাত্মা গান্ধীর হত্যায় সাভারকর অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন। প্রমাণের অভাবে তিনি ছাড়া পেয়ে যান। সেলুলার জেলে বন্দি থাকার সময়ে তিনি মুক্তি পেতে ব্রিটিশদের কাছে বারবার ক্ষমাপ্রার্থনাও করেছিলেন।
আরও পড়ুন: Noida Twin Tower: ৭০ কোটির টুইন টাওয়ার ধূলিসাৎ ৯ সেকেন্ডে, দেখুন ভিডিয়ো