SC says two-finger test must not be conducted, those doing it will be held guilty of misconduct

Supreme Court: ধর্ষণের প্রমাণ পেতে করা যাবে না বিতর্কিত ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’, গণ্য হবে অপরাধ হিসেবে

ধর্ষণের প্রমাণ পেতে ধর্ষিতার দু’আঙুলের পরীক্ষা (টু ফিঙ্গার টেস্ট) করানো যাবে না বলে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এ ব্যাপারে দেশের সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালকে অবহিত করতে বলার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রককে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, মেডিক্যাল পরীক্ষার পাঠ্যক্রম থেকেও এই সংক্রান্ত পাঠের বিষয় সরাতে হবে।

ঝাড়খণ্ডের একটি ধর্ষণ ও খুনের মামলায় এ ব্যক্তিকে মুক্তি দেয় সেখানকার হাইকোর্ট। সেই মামলায় হাইকোর্টের ওই রায়কে খারিজ করে দেন সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ। সেই মামলাতেই ওই দুই বিচারপতি নির্দেশ দেন ধর্ষণের মামলায় নির্যাতিতার টু ফিঙ্গার টেস্ট পুরুষতান্ত্রিক সমাজের একটি প্রতিফলন। এতে কিছু প্রমাণ হয় না। এই টেস্ট একজন মহিলার সম্ভ্রম ও প্রাইভেসির পরিপন্থী।

আরও পড়ুন: ‘অপারেশন লোটাস’ তেলেঙ্গানাতেও, ৫০ কোটিতে ৪ বিধায়ক কেনার চেষ্টা, পাকড়াও

শীর্ষ আদালত আজ পর্যবেক্ষণ করে, ‘ধর্ষণ এবং যৌন নিপীড়নের অভিযোগের ক্ষেত্রে বারবার দুই আঙুলের পরীক্ষার ব্যবহার বন্ধ করতে বলেছে এই আদালত। তথাকথিত পরীক্ষার কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। এই পরীক্ষার মাধ্যমে নির্যাতিতা নারীদের পুনরায় বিভীষিকার শিকার করা হয়। দুই আঙুলের পরীক্ষা করা উচিত নয়… পরীক্ষাটি একটি ভুল ধারণার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়। মনে করা হত যে, যৌন সক্রিয় মহিলাকে ধর্ষণ করা যায় না। কিন্তু এই কথা সত্যি নয়।’

শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়, ‘একজন মহিলার যৌন সক্রিয়তার উপর তাঁর সাক্ষ্যের সত্যতা নির্ভর করে না। এটা পুরুষতান্ত্রিক এবং যৌনতাবাদীদের প্রস্তাব করা পরীক্ষা। কারণ তারা মনে করত, একজন মহিলার যৌন সক্রিয়তার কারণে তাঁর ধর্ষণের অভিযোগ বিশ্বাস করা যায় না।’

ধর্ষণের প্রমাণ পেতে ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ করা হলে এটি একটি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে বলে সাফ জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই প্রথা বন্ধে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে উপযুক্ত সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।

আরও পড়ুন: Gujarat Video: সাঁতরে -রেলিংয়ে ঝুলে বাঁচার চেষ্টা, আর্তনাদ! দেখুন, ঝুলন্ত সেতু ভাঙার মুহূর্তের ছবি