জ্ঞানবাপী-শৃঙ্গার গৌরী দেবী মামলা আদালত গ্রাহ্য কি না সে বিষয়ে আজ রায় দেবে বারাণসীর জেলা আদালতের বিচারক একে বিশ্বেশ (Gyanvapi Masjid Case)। রায় ঘিরে অশান্তির আশঙ্কায় জেলা জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। আজ মিটিং মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়েছে বারাণসী জেলায়।
কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পাশে অবস্থিত জ্ঞানবাপী মসজিদের অভ্যন্তরে পুজো করার অধিকার চেয়ে পাঁচ হিন্দু মহিলার দায়ের করা এই মামলায় সোমবারই রায়দান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের অগস্ট মাসে পাঁচ হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর ‘মা শৃঙ্গার গৌরী’ (ওজুখানা ও তহখানা নামে পরিচিত) এবং মসজিদের অন্দরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে তা পূজার্চনার অনুমতি চেয়েছিলেন বারাণসী দায়রা আদালতে। এর পর দায়রা আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকরের নিযুক্ত কমিটি মসজিদের অন্দরে সমীক্ষা ও ভিডিয়োগ্রাফির নির্দেশ দিয়ে পর্যবেক্ষক দল গঠন করে। সেই কাজ শেষ হওয়ার পরেই গত ২০ মে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলার শুনানির দায়িত্ব পায় বারাণসী জেলা আদালত।
আরও পড়ুন: LPG Price: একধাক্কায় অনেকটা কমল বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম, সব থেকে বেশি কমল কলকাতাতেই
এর পর মসজিদ চত্বরে ওজুখানায় শিবলিঙ্গের উপস্থিতি সম্পর্কে দাবি করে তার বয়স জানার জন্য ‘কার্বন ডেটিং’ পরীক্ষার আবেদন জানানো হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু সেই সব দাবি খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। বারাণসী আদালতের নির্দেশ অনুসারে, মসজিদের ভিতর ভিডিয়োগ্রাফি করা শেষ হয়েছে। যদিও তা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। আদালত নির্দেশ দেয় আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়াকে এই মসজিদের কাঠামো পরীক্ষা করে দেখার।
মামলার এই আর্জি আইন বিরুদ্ধ বলে মুসলিম পক্ষের দাবি। তাদের যুক্তি, ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল রক্ষা আইনে এই দাবি গ্রহণযোগ্য নয়। আইনে বলা হয়েছে, ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্টের পর কোনও উপাসনাস্থলের চরিত্র, ব্যবহার বদল করা যাবে না। এর আগে বিচারক বিশ্ব হিন্দু ও মুসলিম পক্ষের বক্তব্য শোনার পর রায় দায় স্থগিত রেখেছিলেন।
আরও পড়ুন: Uttarakhand: মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেল কমপক্ষে ৫০টি বাড়ি, ভয়াবহ ভিডিও প্রকাশ্যে