সোমবার ৪৫ মিনিটের নোটিসে বাংলাদেশ (Bangladesh) ছেড়ে ভারতে এসে পৌঁছান বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। জানা যায় যে ভারত থেকে অন্য কোনও দেশ রাজনৈতিক আশ্রয় নেবেন হাসিনা। তবে শুক্রবার বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের দাবি যে অন্য কোনো দেশে নয়, ভারতেই থাকবেন হাসিনা।
কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে খবর, হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে কোনও দেশ থেকেই এখনও ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া না মেলায় তিনি ভারতেই আপাতত থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে ভারতে তাঁকে কোনও রকম রাজনৈতিক আশ্রয় দিচ্ছে না। ভারতে হাসিনা থাকবেন ভিসার অনুমোদন প্রক্রিয়া মেনে।
সংবাদ মাধ্যম নিউজ এইট্টিন-এর একটি প্রতিবেদনে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্রের কথা জানিয়ে এই খবর প্রকাশ করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে তারা কেন্দ্রীয় সরকারের ওই সূত্রের বক্তব্যও উল্লেখ করেছে। ওই সূত্র বলেছে, ‘‘এই মুহূর্তে অন্য কোনও দেশে হাসিনার পক্ষে নিরাপদ আশ্রয় নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে ভারতে তিনি আশ্রিত বা শরণার্থী হিসাবেও থাকতে পারবেন না। কারণ ভারতের ওই সংক্রান্ত কোনও আইন নেই। আমরা জেনেবুঝেই ওই ধরনের কোনও আইন আনিনি। তাই আইনত আমরা কাউকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে পারি না। শরণার্থী হিসাবেও রাখতে পারি না।’’ তাঁকে ভারতে আশ্রিত তিব্বতের বৌদ্ধ ধর্মগুরু দলাই লামার প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে ওই সূত্র বলেন, ‘‘দলাই লামা এখানে রয়েছেন ভারত সরকারের নীতি সংক্রান্ত কারণে।’’
বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমের আরও দাবি,‘যুক্তরাজ্যে হাসিনা রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিলেন সেটি আপাতত বাতিল করা হয়েছে। কারণ যুক্তরাজ্যে ব্যাপারে কোনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রও তার ভিসা বাতিল করেছে। হাসিনাকে আশ্রয় না দিতে যুক্তরাজ্যের ওপর ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলো চাপ দিচ্ছে। তবে ভারত সরকার শেখ হাসিনাকে বলেছে যে যতদিন পর্যন্ত তিনি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ঠিক না করছেন ততদিন পর্যন্ত তিনি ভারতেই অবস্থান করতে পারবেন।’