শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর কথা বলে বাংলাদেশের হাই কমিশনের চিঠি (নোট ভার্বাল) এসেছে বলে সোমবার নিশ্চিত করলেন ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। তবে এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি।
প্রবল ছাত্র আন্দোল ও দেশব্যাপী ক্ষোভের কারণে ৭৭বছর বয়সী আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশে ছাড়েন। ঢাকা থেকে তিনি ভারতে আসেন। ব্যাপক আন্দলের ফলে হাসিনার দীর্ঘ একটানা ১৬ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। ঢাকা ভিত্তিক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) শেখ হাসিনা এবং তাঁর মন্ত্রী, উপদেষ্টা এবং তৎকালীন সামরিক ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এদের বিরুদ্ধে “মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা”র অভিযোগ রয়েছে।
সোমবার বাংলাদেশের বিদেশ সংক্রান্ত উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, “প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে বিচারের সম্মুখীন করার জন্য বাংলাদেশ ফেরত চেয়েছে। ভারতকে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে।” তাঁকে উদ্ধৃত করেছিল সে দেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’। এ বার সেই ‘নোট ভার্বাল’ বা কূটনৈতিক বার্তা পাওয়ার কথা স্বীকার করল বিদেশ মন্ত্রক।
সোমবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর বলেন, ‘‘প্রত্যার্পণের বিষয়ে সোমবার বাংলাদেশ হাই কমিশনের থেকে একটি নোট ভার্বাল পেয়েছি আমরা। বর্তমানে এই বিষয়ে মন্তব্য করার মতো কিছু নেই।’’
চলতি মাসেই ঢাকায় গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তথা নোবেলজয়ী ডঃ মহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের জন্য ঢাকার কূটনৈতিক বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যবাহী।