সাতসকালে জয়পুর-মুম্বই এক্সপ্রেসে শুটআউটের (Shootout) ঘটনায় বিস্ফোরক দাবি পূর্ব রেলের আইজি, আরপিএফ পরম শিবের। যে পরিস্থিতিতে আরপিএফ (RPF) কনস্টেবল গুলি চালিয়ে চারজনকে হত্যা করেছে, তার তীব্র নিন্দা করে অভিযুক্তের মুসলিম বিদ্বেষী মনোভাবের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। গোটা ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে আইজি, আরপিএফ জানান, গুলি চালানোর সময়ে যোগী, মোদির নাম উচ্চারণ করেছিলেন অভিযুক্ত কনস্টেবল। তাঁর বিস্ফোরক দাবি, কনস্টেবল চেতন সিংয়ের গুলিতে মৃত তিন যাত্রীই মুসলিম (Muslim)।
প্রাথমিকভাবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, অভিযুক্ত কনস্টেবল চেতন সম্প্রতি গুজরাট থেকে মুম্বইতে বদলি হয়েছেন। হঠাৎ পরিবারকে ছেড়ে আসায় অবসাদ, মনে খারাপের জেরেই কাণ্ড ঘটিয়েছেন।তবে পরে এই দাবি নাচক করে পূর্ব রেলের আইজি, আরপিএফ পরম শিব, ”কনস্টেবল চেতন সিংয়ের এই হত্যাকাণ্ড সম্পূর্ণ অভিসন্ধিমূলক। গুলি চালানোর সময় ও বলছিলো, ‘যোগী-মোদিকে জানাও, আমার ভিডিও করো।’ পাশাপাশি ট্রেনের বিভিন্ন কামরার যে ৩ জন যাত্রীকে খুন করা হয়েছে, তাঁরা সকলেই মুসলিম। বেছে বেছে মুসলিমদেরই মারার পেছনে কারণ কী?”
আরও পড়ুন: Raghav Chadda: সংসদের ভিতরেই কাকের আক্রমণে নাস্তানাবুদ রাঘব চাড্ডা, কটাক্ষ BJP-র
IG, RPF জানায়, ২০১৫ সালে মুম্বইয়ের পারেলে ট্রেনিংয়ের জন্য আসে চেতন। পরের বছর সেখানেই পোস্টিং হয়। সুতরাং বদলির কোনও প্রশ্নই নেই। আইজি, আরপিএফ এর মন্তব্য, ”মানসিক চাপ থাকতেই পারে। বদলি করা হলেও সেই অর্ডার দিয়ে থাকেন অফিসাররা।”
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে তিনি বলেন, ” ওর যাই থাকুক তাতে সাধারণ যাত্রীদের দোষ কোথায়? যাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব আরপিএফের হাতে, তাদেরই গুলি করে খুন করা হল? এই হত্যাকাণ্ড গোটাটাই পরিকল্পিত ও অভিসন্ধিমূলক।” প্রসঙ্গত, গুলি করার পর দহিসার স্টেশনের কাছে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেয় অভিযুক্ত কনস্টেবল। যদিও পালাতে পারেনি। অভিযুক্তকে বন্দুক-সহ আটক করা হয়েছে।
সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, বন্দুক হাতে ওই জওয়ান গুরছেন এবং বলছে, ‘ভারতে থাকতে হলে যোগী আর মোদীকেই ভোট দিতে হবে।’ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবর অনুযায়ী, চেতনার হাতে মৃত সহকর্মীর নাম হল – এএসআই টিকারাম মিনা। হত দুই ট্রেন যাত্রীর নাম হল – আব্দুল কাদির ও আসগার কাই। আর জন মৃতের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।