Shraddha Walker: Another chilling murder in Delhi, woman, son cut man's body into pieces in Pandav Nagar

Shraddha Walker: সেই দিল্লি! খুনের পর ২২ টুকরো করে ফ্রিজে রাখল স্ত্রী-পুত্র

শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের সব রহস্যের এখনও সমাধান হয়নি। এর মধ্যেই ফের সামনে এল একই রকমের আরও এক হাড় হিম করা খুনের খবর। স্বামীকে খুনের পর প্রমাণ লোপাট করতে দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলার অভিযোগ উঠল দিল্লির পাণ্ডব নগরে। চলতি বছরের মে মাসের সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই নিহতের স্ত্রী ও সৎ ছেলেকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ।

শ্রদ্ধাকে খুন করে লিভ-ইন সঙ্গী আফতাব তাঁর দেহ টুকরো করে কেটেছিলেন। ১৮ মে শ্রদ্ধা খুন হন। সেই দেহাংশ সংরক্ষণ করে রাখা হয় ফ্রিজে। এবং তার পর তিনি সেই দেহাংশ মেহরৌলীর জঙ্গলে ফেলে আসতেন রোজ রাতে। শ্রদ্ধার সব দেহাংশ এখনও মেলেনি। সেই দেহাংশ খুঁজতে দিল্লির সব থানায় নির্দেশ জারি করা হয়েছে। তখনই জানা যায়, গত জুনে পাণ্ডব নগর দেহাংশের খোঁজ মিলেছিল। কিন্তু পচেগলে যাওয়ায়, তা কার, তখন জানা যায়নি। শ্রদ্ধা খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে ফের ওই ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হয় জুন মাসে উদ্ধার হওয়া দেহাংশ শ্রদ্ধার কি না। তখনই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

আরও পড়ুন: Nikah: মুসলিমদের চার বিয়ে কি বৈধ? খতিয়ে দেখতে পাঁচ ‘সুপ্রিম’ বিচারপতির নয়া বেঞ্চ

তদন্তে প্রকাশ, ওই দেহাংশ অঞ্জন দাস নামে পাণ্ডব নগরের এক ব্যক্তির। দিল্লি ক্রাইম ব্রাঞ্চ সূত্রে খবর, লাগাতার জেরায় একটা সময় ভেঙে পড়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে অভিযুক্ত পুনম। তাঁর দাবি, অঞ্জনের সঙ্গে একাধিক নারীর সম্পর্ক ছিল। অত্যাধিক মদ্যপানের অভ্যাস ছিল তাঁর। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ধরনের মাদক মিশিয়ে মদ্যপান করতেন তিনি। অন্যদিকে পুনমও একাধিক বার বিয়ে করেছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রথম স্বামী কাল্লুর সন্তান দীপককে নিয়েই তিনি অঞ্জনের সংসারে থাকতেন। জেরায় অভিযুক্তরা দাবি করেন, দীপকের স্ত্রীর উপর ‘কুনজর’ ছিল অঞ্জনের। সেই কারণেই মা-র সঙ্গে মিলে সৎবাবাকে খুন করে বলে জেরায় স্বীকার করেছেন দীপক।

তদন্তে জানা গিয়েছে, অঞ্জনকে প্রথমে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করা হয়। তার পর তাঁকে খুন করে দেহ টুকরো করা হয়। সেই দেহ ফ্রিজে রাখা হয়। এবং তা পরে ফেলে আসা হয় বিভিন্ন জায়গায়।  তদন্তে জানা গিয়েছে, অঞ্জনকে প্রথমে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করা হয়। তার পর তাঁকে খুন করে দেহ টুকরো করা হয়। সেই দেহ ফ্রিজে রাখা হয়। এবং তা পরে ফেলে আসা হয় বিভিন্ন জায়গায়। স্থানীয় বেশ কিছু সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে পুলিশ দেখতে পেয়েছে, গভীর রাতে ব্যাগ হাতে বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন দীপক। পিছনে তাঁর মা। অন্য ফুটেজে দেখা গিয়েছে, দিনের বেলায় বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ঘুরে দেখছেন দু’জন। পরে ওই সব জায়গা থেকেই মেলে অঞ্জনের দেহাংশ।

আরও পড়ুন: Baba Ramdev: ‘পোশাক না পরলেও মহিলাদের সুন্দর লাগে!’ নিম্নরুচির রসিকতা যোগগুরু রামদেবের