অবশেষে মুক্তি পেলেন কেরলের সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পান (Siddique Kappan)। বুধবার রাতে তাঁর জেল থেকে বেরোনোর কথা থাকলেও যে বিচারক তাঁর মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি বার কাউন্সিলের নির্বাচনে ব্যস্ত ছিলেন। তাই শেষপর্যন্ত বুধবার জেলমুক্তি হয়নি সিদ্দিকের। বৃহস্পতিবার সকালে জেল থেকে বেরলেন তিনি। বন্দি হওয়ার প্রায় ২ বছর বাদে মুক্তি পেলেন ওই সাংবাদিক।
২০২০ সালের অক্টোবরে উত্তরপ্রদেশের হাথরসে এক দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ ওঠে। ঘটনাটি নিয়ে গোটা দেশে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছিল। সেই ঘটনাই তুলে ধরেছিলেন সাংবাদিক কাপ্পান। তার পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি ছিল, হাথরসে কাপ্পান যাওয়ার কারণে অস্থির পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। কাপ্পানের বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনে দেশদ্রোহিতার মামলা করা হয়। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলা করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। অভিযোগ তোলা হয় যে, নিষিদ্ধ সংগঠন পিপলস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই)-র থেকে টাকা নিতেন কাপ্পান।
আরও পড়ুন: Sticks Poster: ‘ও শুধু আমার’, বিয়ে করতে এলে খুন করে দেবো, হুমকি পোস্টার প্রেমিকের
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট কাপ্পানের জামিন মঞ্জুর করে। তিন মাস পরে আর্থিক তছরুপের মামলা থেকেও তাঁকে জামিন দেওয়া হয়। কিন্তু তার পরেও কাপ্পানের মুক্তির বিষয়টি আটকে ছিল বেশ কয়েকটি কারণে। অবশেষে বৃহস্পতিবার তিনি মুক্তি পেলেন।
জেল থেকে বেরিয়ে কাপ্পান এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “কঠোর আইনি ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আমার লড়াই জারি থাকবে। জামিন পাওয়ার পরেও ওরা আমাকে জেলবন্দি করে রেখেছিল। ২৮ মাস ধরে লড়াই চালিয়ে গিয়েছি। জানি না, আমাকে জেলে ভরে কার লাভ হয়েছে। দু’বছর খুব কঠিন সময় ছিল। কিন্তু আমি ভয় পাইনি।”
আরও পড়ুন: Budget 2023: সংসদে কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে তৃণমূলের সুদীপ-ডেরেক, হাত-ঘাসফুল নয়া সমীকরণে জল্পনা