সিকিমের নাথুলায় ব্যাপক তুষার ধস। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বরফের গভীর উপত্যকা থেকে ৭ জন-সহ এখনও পর্যন্ত ২২ পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ভাগ্যক্রমে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বহু পর্যটক সেই তুষার ধসে আটকে পড়েছেন। বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের তরফে উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়েছে।
সোমবার রাত থেকে দফায়-দফায় তুষারপাত চলছে পূর্ব সিকিমের নাথুলা, বাবা মন্দির, ছাঙ্গু এলাকায়। ফলে ১৫ মাইলের পর আর পর্যটকদের যেতে দেওয়া হচ্ছিল না। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, তুষারপাতের খবর পেয়ে এদিন সকালে পর্যটক দল ছাঙ্গুর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তাতেই বিপদ বাঁধে। গ্যাংটকের পুলিশ সুপার তেনজিং লোডেন লেপচা জানান, আবহাওয়া খারাপ থাকায় পর্যটকদের ১৩ মাইল পর্যন্ত যাওয়ার পার্মিট দেওয়া হয়েছিল কিন্তু ওরা জোর করে ১৫ মাইলের দিকে চলে যায়। সেখানেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
জানা গিয়েছে, পর্যটকরা তুষারপাত দেখার নেশায় মেতে যখন ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছিলেন ঠিক তখনই তুষার ঝড় আছড়ে পড়ে। সেই সঙ্গে বরফের ধস নামতে শুরু করে। ওই পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পর্যটক বোঝাই একটি বাস খাদে উলটে পড়ে। অসমর্থিত সূত্রে ৭ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। তাঁদের মধ্যে শিশুও আছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই বাংলার বাসিন্দা বলে খবর।
বিবৃতি দিয়ে সেনা জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকার্যে হাত লাগিয়েছে সেনা। নেমেছে সিকিম পুলিশ, সিকিমের ট্র্যাভেল অ্যাসোসিয়েশন, পর্যটন দফতরও।পাশাপাশি দু’দিকেই রাস্তা বন্ধ। এক প্রান্তে ৩৫০ অন্য প্রান্তে ৪৫০ জনের মতো পর্যটক আটকে রয়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। ৮০ টি গাড়ি রাস্তা থেকে তুষার পরিষ্কারের পরে উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Rahul Gandhi: আপাতত স্বস্তিতে রাহুল গান্ধী, জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ সুরাট কোর্টের