মহিলা বিমান যাত্রীর ব্যাগ পরীক্ষার সময় ব্যাগ থেকে উদ্ধার হল ২২টি সাপ। শুল্ক দফতর সূত্রে খবর, অভিযুক্ত মহিলা যাত্রী মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালা লামপুর থেকে AK13 নম্বরের বিমানে ওঠেন। চেন্নাইতে নামার পর তাঁর ব্যাগ পরীক্ষার সময় প্রাণীগুলির হদিশ পান শুল্ক আধিকারিকরা। সঙ্গে সঙ্গে শুল্ক আইন ও বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রসঙ্গত, মহিলার ব্যাগে প্লাস্টিকের ঢাকা ট্রে-র মধ্যে ওই সাপ ও গিরগিটি ছিল। ট্রে গুলির মুখ বন্ধ করতে ব্যবহার করা হয় সেলোটেপ। কিন্তু ব্যাগ পরীক্ষার সময় ট্রে ধরে টান দিতেই একের পর এক সাপ বেরিয়ে পড়ে। ফলে ভয় পেয়ে কিছুটা দূরে সরে যান শুল্ক আধিকারিকরা। পরে ছোট রড নিয়ে এসে সাপগুলিকে ফের ট্রে-তে ভরা হয়। শেষে তা বন দফতরের হাতে তুলে দেন তাঁরা।
প্রাথমিক তদন্তে শুল্ক আধিকারিকদের অনুমান, পাচারের উদ্দেশ্যেই এই সাপ ও গিরগিটি এদেশে আনা হয়েছিল। তামিলনাডুদের প্রাণীগুলির ডেলিভারি দেওয়ার কথা ছিল। এর নেপথ্যে একটি চক্র কাজ করছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা। চক্রের পাণ্ডার খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
চেন্নাই বিমানবন্দর থেকে প্রাণী পাচারের চেষ্টার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৪৫টি ময়াল সাপ উদ্ধার করেন শুল্ক আধিকারিকরা। এছাড়াও উদ্ধার হয় তিনটি মার্মাসেট বাঁদর, তিন তারার ছোপওয়ালা বেশ কয়েকটি কচ্ছপ ও আটটি বিষধর সাপ। সেবার ১১টি দাবিদারহীন ব্যাগ থেকে প্রাণীগুলিকে উদ্ধার করেন শুল্ক আধিকারিকরা। ব্যাগগুলি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্য়াংককের এক যাত্রীর বলে জানা গিয়েছিল। কিন্তু ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। তদন্তকারীদের অনুমান, ব্যাগ পরীক্ষার সময় পাচারকারীরা চম্পট দেয়।