Some Convicts In Bilkis Bano Case Are Brahmins With Sanskaar Says Bjp Mla Ck Raulji

Bilkis Bano Case: বিলকিসের ধর্ষকরা ‘সংস্কারী ব্রাহ্মণ’, মুক্তির কারণ বললেন BJP বিধায়ক

বিলকিস বানোর ধর্ষণকারীদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে উত্তাল দেশ। বিরোধীদের প্রবল সমালোচনার মুখোমুখি মোদী সরকার। এরমধ্যেই বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বিজেপি বিধায়ক। জানালেন কেন বিলকিস বানো গণধর্ষকদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

বিজেপি বিধায়ক সিকে রাউলজি বলেছেন, ‘ওই ১১ জন কোনও অপরাধ করেছে কি না জানা নেই। কিন্তু নিষ্চই অপরাধ করার উদ্দেশ্য ছিল। তারা ব্রাহ্মণ, সংস্কারী, ভালো মানুষ। এও হতে পারে যে ওই ১১ জনকে কোণঠাসা করা এবং শাস্তি দেওয়া কারও খারাপ উদ্দেশ্য হছিল।’

আরও পড়ুন: Jammu And Kashmir: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিরাপত্তরক্ষীদের বাস পড়ল নদীতে, মৃত ৬ জওয়ান

এছাড়াও তাঁর সংযোজন, ‘সুপ্রিম কোর্টের আদেশের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারকে তাঁদের (দণ্ডপ্রাপ্তদের) আচরণ দেখে (তাদের দ্রুত মুক্তির বিষয়ে) সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছিল। এরপর সরকার জেলরকে জিজ্ঞাসা করেছি এবং জেনেছে যে কারাগারে তাঁদের আচরণ ভাল ছিল। এছাড়াও (অভিযুক্তদের মধ্যে কিছু) ওদের অনেকে ব্রাহ্মণ। তাদের ভালো ‘সংস্কার’ (মূল্যবোধ) আছে।’

উল্লেখ্য, ২০০২ সালের মার্চ মাসে দাহোদ জেলায় লিমখেড়া তালুকায় রাধিকাপুর গ্রামে একদল দুষ্কৃতী বিলকিস বানোর পরিবারের উপর হামলা চালিয়েছিল। গণধর্ষণ করা হয় বিলকিসকে৷ তাঁর পরিবারের ৭ জন সদস্যকে খুন করা হয়৷ পরিবারের অন্য ৬ জন সদস্য পালিয়ে যেতে পেরেছিলেন৷ পরে ২০০৪ সালে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। বিশেষ সিবিআই আদালত বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের গণহত্যার অভিযোগে ২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি ১১ জন অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাবাসের আদেশ ঘোষণা করেছিল৷ তবে এই বছর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্য সরকার পঞ্চমহলের কালেক্টর সুজল মায়াত্রার নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে দোষীদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখে। সর্বসম্মতিক্রমে কারাবাসের সময় হ্রাসের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় কমিটিতে। সেই মতো   দেশের ৭৬তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে গোধরা কারাগার থেকে এই ১১ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়া দেখতে চাননি ডাক্তার, ঘুষি মেরে ‘সবক’ মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ের