রাজ্যসভায় মনোয়ন জমা দিলেন সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। বুধবার রাজস্থানের জয়পুরে গিয়ে নিজের মনোনয়ন জমা দেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী। সঙ্গে ছিলেন পুত্র রাহুল এবং কন্যা প্রিয়াঙ্কাও। এছাড়াও হিমাচল প্রদেশ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভিকেও।
উত্তরপ্রদেশের রায়বেরলির সাংসদ সনিয়া এই প্রথম বার রাজ্যসভায় যাচ্ছেন। বস্তুত, গান্ধী পরিবার থেকে সনিয়াই দ্বিতীয় সদস্য, যিনি রাজ্যসভায় যাচ্ছেন। এর আগে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী রাজ্যসভার সাংসদ হন। ১৯৬৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন সনিয়ার শাশুড়ি।
সনিয়া গান্ধীর রাজ্যসভায় যাওয়ার কারণ হিসেবে কংগ্রেস তাঁর শারীরিক অবস্থার কথাই বলেছে। কংগ্রেসের বক্তব্য, শারীরিক কারণেই আর লোকসভায় লড়াই না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। দল তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছে। কারণ সনিয়া কংগ্রেস সংসদীয় দলের প্রধান। এখন দলে আলোচনা শুরু হয়েছে, সনিয়ার রায়বেরলি কেন্দ্রে কংগ্রেস এরপর কাকে প্রার্থাী করবে। কারণ, অমেঠি, রায়বেরলি আসনের সঙ্গে গান্ধী পরিবারের সম্পর্ক রয়েছে।
রায়বেরলিতে সনিয়ার আগে প্রার্থী হতেন তাঁর শাশুড়ি ইন্দিরা। অন্যদিকে, অমেঠি ছিল রাজীব গান্ধীর আসন। কংগ্রেসের একাংশ চাইছে, প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে মায়ের রায়বেরলি আসনে প্রার্থী করা হোক। যদিও কর্নাটক, তেলেঙ্গানা, হিমাচলপ্রদেশের কংগ্রেস নেতারা সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কাকে তাঁদের রাজ্যের কোনও নিরাপদ আসন থেকে লোকসভায় পাঠাতে চান। তাঁরা মনে করেন, রায়বেরলি থেকে প্রিয়ঙ্কার জিতে আসা কঠিন। ফলে প্রথমবার পরাজয় দিয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ের সূচনা হোক, অনেকেই চাইছেন না।
সনিয়া প্রথম লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১৯৯৯ সালে। ওই বছরই প্রথম বার কংগ্রেসের সভানেত্রী হন। বুধবার রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত তাঁর এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘‘আমরা শ্রদ্ধেয়া সনিয়া গান্ধীজিকে কংগ্রেস থেকে রাজ্যসভার প্রার্থী হিসাবে ঘোষণাকে স্বাগত জানাই। উনি প্রধানমন্ত্রীর পদ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।’’ তিনি এ-ও লেখেন, এই ঘোষণার পর সারা রাজস্থানে খুশির হাওয়া বইছে। কিন্তু কেন রাজস্থানকেই বেছে নিলেন সনিয়া? তিনি তেলঙ্গানা বা কর্নাটক থেকেও প্রার্থী হতে পারতেন। পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, উত্তর ভারতে ভরাডুবির মধ্যেও সনিয়াকে রাজস্থান থেকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে কংগ্রেস আসলে বার্তা দিতে চাইল যে, হিন্দিবলয় তাদের হৃদয়ে রয়েছে।