মঙ্গলবার রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন সাহারা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সুব্রত রায়। বেশকিছু দিন ধরেই ক্যান্সার, ডায়াবেটিস-সহ একাধিক রোগে ভুগছিলেন সুব্রত রায়। শেষপর্যন্ত তাঁকে ভর্তি করা হয় মুম্বইয়ের একটি কোকিলা বেন হাসপাতালে। সেখানেই মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্য়ুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। রেখে গেলেন তাঁর স্ত্রী স্বপ্না রায়, ছেলে সুশান্ত রায় ও সীমান্ত রায়কে। বুধবার লখনউয়ের সাহারা শহরে নিয়ে যাওয়া হবে দেহ। সেখানেই জানানো হবে শেষ শ্রদ্ধা।
সাহারা ইন্ডিয়া পরিবারের পক্ষে বিবৃতি দিয়ে সুব্রতের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়েছে। বহু দিন ধরেই ক্যানসার, উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট, মধুমেহ ছাড়াও হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে সমাজমাধ্যমে শোকপ্রকাশ করেছে সমাজবাদী পার্টি (সপা)।
দেশভাগের পরপরই বিহারের আরারিয়া জেলায় জন্ম সুব্রত রায়ের। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক হওয়ার পর মাত্র ২ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে ব্যবস্যা শুরু করেন। ১৯৭৬ সালে সাহারা ফাইনান্স অধিগ্রহণ করেন। তার পর থেকেই নিজের কোম্পানির নামও সাহারা করে দেন। ফাইনান্স থেকে একে একে হোটেল ব্যবসা, আবাসন ও সংবাদ মাধ্যমের পা রাখে সাহারা গোষ্ঠী। রাষ্ট্রীয় সাহারা ও সাহারা টিভি চালু করেন সুব্রত রায়। পুনেতে ১০ হাজার একর জায়গা জুড়ে তিনি শুরু করেন তাঁর অ্য়াম্বি ভ্যালি প্রকল্প। এছাড়াও বিদেশেও কিছু সম্পত্তি কেনে সাহারা গোষ্ঠী।
খুব অল্প সময়েই দেশের নামকরা একটি শিল্প গোষ্ঠী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে সাহারা। কিন্তু বড় ধাক্কা আসে ২০০২ সালে। বাজার থেকে মাইক্রো ফাইনান্সের নামে টাকা তোলায় অনিয়মের অভিযোগ ওঠে সাহারা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। ২০১৪ সাবে জেল হয় সাহারাশ্রী সুব্রত রায়ের। ২০১৬ সালে প্যারোলে জেল থেকে মুক্তি পান। সেই থেকে জেলের বাইরেই ছিলেন তিনি।শেষ জীবনে Sahara Evols, বিদ্যুৎচালিত গাড়ির ব্যবসা দেখতেন সুব্রত। অনলাইন শিক্ষার সঙ্গেও যুক্ত হন।