খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির কোপ থেকে কিছুতেই নিস্তার মিলছে না। এবার দাম বাড়ল চিনির। গত ৭-১০ দিন ধরে ক্রমাগত বাড়ছে চিনির দাম। দাম বাড়তে বাড়তে গত ৬ বছরের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে চিনির দর।
গত ৭-১০ দিনে বড়বাজারে প্রতি কুইন্টাল (১০০ কেজি) চিনির দাম প্রায় ৪০০-৫০০ টাকা বেড়ে গিয়েছে। মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে ১ কুইন্টাল চিনি যেখানে ৩৭০০-৩৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, এখন তার দর ৪২০০ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। বালিগঞ্জ, গড়িয়াহাট, হাতিবাগান এলাকার খুচরো বাজারে এক সপ্তাহ আগেও চিনি প্রতি কেজিতে ৩৮ টাকা দরে পাওয়া গিয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকাগুলিতে ১ কেজি চিনির খুচরো দর ৪৫ টাকা ছুঁয়েছে। শপিং মল বা অনলাইন গ্রসারি সাইটগুলিতে চিনি বিকোচ্ছে ৪৮-৫২ টাকা কেজি দরে।
চিনির এই দাম বৃদ্ধির পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ হল, দেশের সবচেয়ে বড় আখ উৎপাদনকারী রাজ্য মহারাষ্ট্রে এবার উৎপাদন অনেকটাই কমেছে। অসময়ে অতিবৃষ্টি আর খারাপ আবহাওয়ার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ফসল। গত বছরের তুলনায় এ বছর মহারাষ্ট্রে চিনির উৎপাদন প্রায় ৩২ লাখ টন কমেছে। মহারাষ্ট্রে চিনির উৎপাদন ২০২২-’২৩ আর্থিক বছরে ১০৫ লাখ টন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত আর্থিক বছরে এই রাজ্যে ১৩৭ লাখ টন চিনি উৎপাদিত হয়েছিল। চিনির উৎপাদনে এই ব্যাপক ঘাটতির ফলে আগামী দিনে এর দাম আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন কারবারিরাও।
চিনির দাম বৃদ্ধির পর খাদ্যদ্রব্যের মুদ্রাস্ফীতি আরও বাড়তে পারে। এর পাশাপাশি সরকারের চিনি রফতানির পরিকল্পনাতেও সমস্যা হতে পারে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বেড়েছে। চিনির দাম গত কয়েক বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। গ্রীষ্মকালে চিনির ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। এপ্রিলের পর থেকে দেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি কোল্ড ড্রিঙ্ক, আইসক্রিম ইত্যাদি খাওয়ার কারণে বাজারে চিনির চাহিদা বাড়ে। পাশাপাশি বিয়ের মরশুমে চিনির চাহিদাও বাড়ে। এত দাম বাড়ার কারণে এর প্রভাব পড়বে সাধারণ মানুষ ও কোম্পানিগুলোর ওপর।
আরও পড়ুন: TMC তৃণমূল আর জাতীয় দল নয়! নির্বাচন কমিশনের ‘কোপে’ RSP, CPI-ও