মণিপুরে (Manipur) দুই মহিলাকে নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গে বাংলা বা অন্যান্য রাজ্যের ঘটনাগুলিকে একাসনে বসানো যায় না। সোমবার শুনানি চলাকালীন এই কথা বলেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)। আইনজীবীর সওয়ালের পরে তিনি বলেন, নানা রাজ্যে মহিলাদের উপর নির্যাতন চলছে ঠিকই। কিন্তু মণিপুরের মতো জাতিবিদ্বেষ অন্য কোথাও নেই। তাই অন্য রাজ্যের সঙ্গে মণিপুরের তুলনা চলে না।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে মণিপুরের ভাইরাল ভিডিয়ো (দুই কুকি মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানোর অভিযোগ ওঠে মেইতেই সম্প্রদায়ের উন্মত্ত জনতার বিরুদ্ধে) সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় প্রয়াত বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের কন্যা আইনজীবী বাঁশুরি স্বরাজ বলেন, ‘এই মামলার পাশাপাশি বাংলা-সহ একাধিক রাজ্যে ধর্ষণের মতো ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। পুরো ভারতের মেয়েদের রক্ষা করতে হবে।’ সেই সওয়ালের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ (যে বেঞ্চে আছেন বিচারপতি জেবি পাদ্রিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রও) মন্তব্য করে, ‘এটা নিয়ে পরে আলোচনা করা যেতে পারে। আমরা এখন মণিপুরের ঘটনা শুনছি।’
আরও পড়ুন: Crime News : ডেটিং অ্যাপে প্রেম, হোটেলে ডেকে তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ
যদিও থামেননি প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের মেয়ে বাঁশুরি। যিনি বিজেপিতে যোগও দিয়েছেন। তিনি সওয়াল করেন, ‘বাংলায় এক মহিলাকে নগ্ন করে ঘুরিয়েছেন এক প্রার্থী এবং ৪০ জন উন্মত্ত জনতা। এরকম ঘটনা ছত্তিশগড়েও হয়েছে।’ তখন ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ মন্তব্য করে, ‘এখানে এই হয়েছে, ওখানে ওই ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা মণিপুরের ঘটনা নিয়ে সাফাই গাইতে পারি না।’ তারপরও পশ্চিমবঙ্গে নারী নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে সওয়াল করায় প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, ‘আপনি কি সব মহিলাদের রক্ষা করতে বলছেন নাকি কাউকে রক্ষা করতে বারণ করছেন?’
অন্যদিকে, দুই নির্যাতিতার আইনজীবী কপিল সিবল বলেন, ভাইরাল ভিডিওর ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। গোটা ঘটনার তদন্ত মণিপুরের পরিবর্তে অসমে করতে চাইছে তারা। কিন্তু সেটা চান না নির্যাতিতারা। সিবল বলেন, পুলিশের উপস্থিতিতেই হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। কোনও নিরপেক্ষ সংস্থারই সেই ঘটনার তদন্ত করা উচিত।
আরও পড়ুন: Karnataka: ভাইরাল ভালবাসার ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত! লজ্জায় আত্মঘাতী দুই কলেজ পড়ুয়া