Supreme Court says ED can't arrest accused after special court takes cognizance of PMLA

Supreme Court: গ্রেফতারির অসীম ক্ষমতায় লাগাম, ইডি-র ডানা ছাঁটল সুপ্রিম কোর্ট

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের ক্ষমতায় লাগাম পরাল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার এক যুগান্তকারী নির্দেশে সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দিল, সরকারি অর্থ তছরুপ আইনে যে কাউকে গ্রেফতার করতে পারবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রসঙ্গত, এই আইনে এতদিন ইডি-র হাতে অসীম ক্ষমতা ছিল। এবার সেই ক্ষমতার ডানা ছেঁটে দিল শীর্ষ আদালত।

বিরোধীদের জব্দ করতে ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করছে মোদি সরকার। দীর্ঘদিন ধরে এই অভিযোগ করে আসছে কংগ্রেস, তৃণমূল, আপ-সহ বিরোধী দলগুলি। লোকসভা ভোটের মুখে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারির পর বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছে ইন্ডিয়া জোট। অপরপক্ষে শাসক দলের দাবি, তদন্ত সংস্থাগুলি স্বাধীন ভাবে নিজেদের কাজ করছে। বিরোধীরা দুর্নীতিগ্রস্ত বলেই গ্রেপ্তার হচ্ছেন। এহেন বিতর্কের মধ্যে ইডির ক্ষমতায় রাশ টানল সুপ্রিম কোর্ট।

বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, বিশেষ আদালতে বিচারাধীন ‘বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইন’ (পিএমএলএ) মামলার ১৯ নম্বর ধারায় (অর্থ নয়ছয়) অভিযুক্তকে ইডি গ্রেফতার করতে পারবে না। ইডি যদি তেমন কোনও অভিযুক্তকে হেফাজতে রাখতে চায়, তা হলে সংশ্লিষ্ট বিশেষ আদালতে আবেদন করতে হবে।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং উজ্জ্বল ভুঁইয়ার বেঞ্চ বৃহস্পতিবার নির্দেশ ঘোষণা করে বলেছে, ‘‘যদি এক জন অভিযুক্ত সমনে সাড়া দিয়ে আদালতে হাজির হন, তবে তাঁকে গ্রেফতার করার জন্য ইডিকে সংশ্লিষ্ট আদালতেই আবেদন করতে হবে। আদালতের অনুমতি ছাড়া হাজিরা দেওয়া অভিযুক্তকে হেফাজতে নিতে পারবে না ইডি।’’ সেই সঙ্গে দুই বিচারপতির বেঞ্চের তাৎপর্যপূর্ণ নির্দেশ— ‘‘পিএমএলএ মামলায় অভিযুক্ত যদি সমন মেনে আদালতে হাজিরা দেন, তবে তাঁর আলাদা ভাবে জামিনের আবেদন করার কোনও প্রয়োজন নেই।’’

এ ক্ষেত্রে পিএমএলএ-র ৪৫ নম্বর ধারার জোড়া শর্ত কার্যকরী হবে না বলেও বৃহস্পতিবার জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। প্রসঙ্গত, ওই জোড়া শর্তের প্রথমটি জানাচ্ছে, যখন পিএমএলএ মামলার অভিযুক্ত জামিনের জন্য আদালতে আবেদন করবেন, তখন প্রথমে শুনানির জন্য সরকারি আইনজীবীর সম্মতি প্রয়োজন। সরকারি আইনজীবী যদি সন্তুষ্ট হন যে, অভিযুক্ত দোষী না-ও হতে পারেন এবং মুক্তি পেলে অনুরূপ অপরাধ করার সম্ভাবনা নেই, কেবলমাত্র তখনই জামিন দেওয়া যেতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমলে কার্যকরী হওয়া সংশোধিত পিএমএলএ আইনে গ্রেফতারি, তল্লাশি, সমন পাঠানো বা নগদ সম্পত্তি আটকের ক্ষেত্রে ইডির হাতে যথেচ্ছ ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয়েছে বলে বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন এবং বিরোধীদের অভিযোগ। ইডির এই ক্ষমতা সংবিধানের মৌলিক অধিকারের বিরোধী বলেও অভিযোগ উঠেছিল। শীর্ষ আদালতের নির্দেশের জেরে গুরুত্বহীন হয়ে গেল ইডির সেই অতিরিক্ত ক্ষমতা।