দেহব্যবসার সঙ্গে যুক্ত একাধিক শব্দ আর ব্যবহার করা যাবে না আদালতে। মহিলাদের পক্ষে অসম্মানজনক শব্দও আদালতে উল্লেখ করা যাবে না। আইনি ভাষার ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে নয়া পদক্ষেপ করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বুধবার নতুন হ্যান্ডবুক প্রকাশ করলেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি বলেন, আগে বহুবার সুপ্রিম কোর্টে এই শব্দগুলি মহিলাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে। সবমিলিয়ে ৪০টি শব্দ উল্লেখ করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।
হ্যান্ডবুকটি প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, “এই ধরনের শব্দগুলি যথাযথ নয়। সচরাচর এগুলি মেয়েদের প্রতি ব্যবহার করা হয়েছে।” একই সঙ্গে প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন যে, পূর্বতন রায়গুলি ভুল ছিল এমন নয়। কিন্তু লিঙ্গ সম্পর্কিত বদ্ধমূল ধারণা বিচারব্যবস্থাকে কী ভাবে প্রভাবিত করে, তা বোঝাতেই শব্দগুলির উল্লেখ করা হয়েছে হ্যান্ডবুকে।
আরও পড়ুন: Himachal Pradesh: হড়পা বানে ভেসে মৃত্যু সাত জনের, দুর্যোগের বলি বেড়ে ৩৩
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, “সাধারণ মানুষের মতো এক জন বিচারকও অবচেতনে কিছু বদ্ধমূল ধারণার উপরে ভরসা রাখেন। কিন্তু মানুষ বা কোনও গোষ্ঠীর উপরে এমন ধারণার উপরে ভিত্তি করে রায় লেখা হলে অপূরণীয় ক্ষতি হয়।” কোন কোন শব্দে কোপ পড়তে চলেছে তার তালিকা এবং সেগুলির পরিবর্তে কোন শব্দ ব্যবহার করা যাবে, তার উল্লেখ ওই হ্যান্ডবুকে করা হয়েছে। যেমন ‘প্রস্টিটিউট’ শব্দের পরিবর্তে ‘যৌনকর্মী’ শব্দটি ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।
এছাড়াও অনেক সময় কোনও অপরাধের শিকার থেকে বেরিয়ে আসা ব্যক্তিত্বকে ‘সার্ভাইভার’ (উদ্ধার হওয়া) বা ‘ভিকটিম’ (শিকার) কোনটি বলা হবে, তা নিয়েও রয়েছে বিধি। সেখানে বলা হচ্ছে, দুটি শব্দই ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে যদি ঘটনার কেন্দ্রীয় চরিত্র নিজে কোনও শব্দকে বেছে নেন, তাহলে সেই সিদ্ধান্তকে সম্মান করতে হবে। নয়া হ্যান্ডবুকের বিধি স্পষ্ট বলছে, ‘ট্রান্স সেক্সুয়াল’ এর জায়গায় ‘ট্রান্সজেন্ডার’ বলতে হবে, ‘আনওয়েড মাদার’ (অবিবাহিত মা) বলা যাবে না, সেখানে বলতে হবে ‘মাদার’ (মা)।
আরও পড়ুন: Vishwakarma Yojana: বিশ্বকর্মা যোজনাতে কত টাকা ঋণ পাবেন কারিগরেরা? জানুন লোনে সুদের হার