পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য তাজমহল। ভারত তথা গোটা বিশ্বের গর্বের সৌধ এই তাজমহল। মুঘল সম্রাট শাহজাহান তাঁর স্ত্রী মুমতাজের স্মৃতিতে তৈরি করেছিলেন এই আশ্চর্য সৌধ। প্রেমের প্রতীক হিসাবে পরিচিত এই তাজমহলই কি না এখন রোষের মুখে। তাজমহল নিয়ে ক্ষুব্ধ হিন্দুত্ববাদীরা। তাঁদের দাবি, ভগবান শিবের মন্দির ভেঙে তৈরি করা হয়েছে তাজমহল। তেজো মহালয়া নামে সেই মন্দিরের অস্তিত্বের দাবিতে সরগরম। এবার সেই নিয়ে মামলা গড়িয়েছে আদালতে।
বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট পাল্টা মামলাকারীকেই তীব্র ভর্ৎসনা করল। সাফ জানিয়ে দিল, জনস্বার্থ মামলার উপহাসে পরিণত করবেন না। আগে গবেষণা করুন, এম এ-পিএইচডি করুন তার পর আসুন। বিচারপতি ডি কে উপাধ্যায় এবং সুভাষ বিদ্যার্থীর বেঞ্চ এদিন এই ভাষাতেই ভর্ৎসনা করেছে মামলাকারীকে।
আরও পড়ুন: Fertility Rate: সন্তান নেওয়ার হার সবচেয়ে বেশি কমেছে মুসলিমদের মধ্যে, জানাল মোদীর মন্ত্রক
অযোধ্যা জেলার ‘মিডিয়া ইনচার্জ’ রজনীশ সিংহ ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (আর্কিয়োলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা এএসআই)-এর তত্ত্বাবধানে তাজমহলের ‘আসল ইতিহাস’ অনুসন্ধানের দাবিতে ইলাহাবাদ হাই কোর্টের লখনউ বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। পাশাপাশি, তাজমহলের অন্দরে দীর্ঘ দিন ধরে ২২টি ঘর বন্ধ রয়েছে দাবি করে, এএসআই-এর প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সেগুলি খোলারও দাবি জানান তিনি। এমন দাবি প্রসঙ্গে দুই বিচারপতির বেঞ্চের প্রতিক্রিয়া— ‘এর পর তো আগামিকাল আপনারা আমাদের চেম্বার খুলে কী আছে দেখার অনুমতি চাইবেন!’
যদিও বৃহস্পতিবার আদালতে রজনীশের আইনজীবী জানান, তাজমহলের জমিতে মন্দির নির্মাণ করা তাঁদের উদ্দেশ্য নয়। প্রকৃত ইতিহাস জনসাধারণের সামনে তুলে ধরতেই ওই জনস্বার্থ মামলা। যদিও সেই যুক্তি মানতে চায়নি ইলাহাবাদ হাই কোর্ট।