রাজস্থানের উদয়পুরে যুগলকে খুন করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক তান্ত্রিককে(Tantrik)। দম্পতির হত্যার তিন দিন পর ১৮ নভেম্বর রাজস্থানের(rajasthan) উদয়পুরের(Udaipur) কেলাবাবাদীর জঙ্গলে তাঁদের নগ্ন দেহ খুঁজে পায় পুলিশ। প্রথমে এটা ‘সম্মানরক্ষার খুন’ বলে মনে করেছিল পুলিশ। পরে তান্ত্রিককে (Tantrik) এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়।
যুগলের মনস্কামনা পূরণের জন্য তাঁদের অদ্ভুত উপায় বাতলে দেয় এক তান্ত্রিক (Tantrik)। বলে, তার সামনেই যৌনতায় লিপ্ত হতে হবে দু’জনকে। এবং সঙ্গমের সময়ই তাঁদের যৌনাঙ্গে আঠা ঢেলে দিল ওই তান্ত্রিক। তারপরই মৃত্যু হয় যুগলের। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশেরও।
মৃতদের নাম রাহুল মীনা এবং সোনু কাঁওয়ার। খুন হওয়া যুগল অবশ্য দম্পতি নন। নিজেদের পরিবারের সঙ্গে তাঁরা দুজনেই এই তান্ত্রিকের কাছে আসতেন। সেখানে এসেই ক্রমে এই দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। এরপরই পেশায় শিক্ষক রাহুলের স্ত্রী তান্ত্রিকের কাছে ‘সাহায্য’ চান। এদিকে এই খুন হওয়া সোনুর সঙ্গে তান্ত্রিকেরও সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল।
সোনুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা রাহুলের স্ত্রীকে জানিয়ে দেয় খোদ তান্ত্রিক। আর তাতেই মেজাজ হারান রাহুল ও সোনু। তান্ত্রিককে হুমকি দেন তাঁরা। সাফ বলে দেন তারও কুকীর্তি ফাঁস করে দেবে তারা। এরপরই নিজের ভাবমূর্তি রক্ষা করতে খুনের ছক কষে ওই তান্ত্রিক।
গত ১৫ নভেম্বর জঙ্গলে ডেকে পাঠায় রাহুল ও সোনুকে। ৫০টি ফেভিকুইকের টিউব থেকে আঠা একটি বোতলে ঢেলে সঙ্গে করে নিয়ে যায় সে। এরপর যুগলকে বলে, তার সামনে সঙ্গমে লিপ্ত হলে সব সমস্যা মিটে যাবে। তান্ত্রিকের পরামর্শে তেমনটাই করেন রাহুল ও সোনু। আর ঠিক সেই সময়ই তাঁদের যৌনাঙ্গে আঠা(Fevikwik)ঢেলে দেয় ভালেশ। সে ভাবে, আপত্তিকর অবস্থায় তাঁদের দেহ উদ্ধার হলে সে সন্দেহের বাইরে থাকবে। তারা নিজেদের মুক্ত করতে চেষ্টা করবে এবং ক্ষতবিক্ষত হয়ে মারা যাবে। এই যুগল নিজেদের আঠা ((Fevikwik)থেকে মুক্ত করে। তাতে রাহুলের যৌনাঙ্গ ছিঁড়ে যায়।সনুর যৌনাঙ্গ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু তারা তখনও জীবিত। তা দেখে তান্ত্রিক তাদের গলার নলি কেটে একজনকে খুন করে, অন্যজনকে হত্যা করে কুপিয়ে।