সিত্রাংয়ের রেশ যেতে না যেতেই ফের একবার ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি। এবার ঘূর্ণিঝড়ের লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ ছাড়িয়ে অন্ধ্র প্রদেশ। প্রত্যক্ষ কোন প্রভাব না পড়লেও এই ঘূর্ণিঝড়ের পরোক্ষ প্রভাব পড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গের কিছু জায়গায়। পশ্চিমী জেট বাতাস অন্ধ্র প্রদেশ থেকে মেঘ টেনে নিয়ে আসতে পারে পশ্চিমবঙ্গে। যার ফলে এ রাজ্যের কিছু জায়গায় হতে পারে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি।
পূর্বাভাস অনুসারে শনিবার বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে চলেছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। যা সোমবারের মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এর পর ক্রমশ শক্তি বাড়িতে তা বুধবারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এর পর ক্রমশ উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়ে ১১ নভেম্বর সকালে অন্ধ্রপ্রদেশের মছলিপট্টনমের কাছে ভূভাগে প্রবেশ করতে পারে ঝড়টি।
আরও পড়ুন: India’s Forex Reserve: টাকার পতনে ক্রমশ কমছে বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার
এই ঝড়ের জেরে অন্ধ্র প্রদেশ ও তেলাঙ্গানার একাংশে প্রবল দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে। এই ঝড়ের জেরে ১০ নভেম্বর সকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হতে শুরু করবে। পশ্চিমা জেট বাতাস এই ঝড়ের দ্বারা সংগৃহীত জলীয় বাস্প উত্তর – পূর্ব দিয়ে বয়ে নিয়ে আসবে। যার ফলে ১১ অক্টোবর দক্ষিণবঙ্গে ও ১২ অক্টোবর উত্তরবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। ঝড়ের জেরে ১১ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে সমুদ্র উত্তাল হতে পারে। ঘূর্ণাবর্তটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে তার নাম হবে মান্দোস।
আরও পড়ুন: Gujarat Election : গুজরাটে ১ ডিসেম্বর ও ৫ ডিসেম্বর দু’দফায় ভোট, ফল ৮ ডিসেম্বর