জাতীয় দলের স্বীকৃতি হারাল তৃণমূল। তবে বাংলা ছাড়াও আরও দুই রাজ্যে ঘাসফুলের উপস্থিতিকে স্বীকৃতি দিল কমিশন। বাংলা, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের আঞ্চলিক দল হিসেবে চিহ্নিত করা হল তৃণমূলকে। একই হাল শরদ পাওয়ারের এনসিপি ও ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি বা সিপিআইয়ের। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শরদ পাওয়ারের দল বা দেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল সিপিআইকে টেক্কা দিয়েছে অরবিন্দ কেজিওয়ালের আম আদমি পার্টি। আপ-কে এখন জাতীয় দলের তকমা দিল কমিশন। সোমবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের (ECI) তরফে স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছে বলে খবর। স্বাভাবিকভাবেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তে না খুশ তৃণমূল নেতৃত্ব।
প্রসঙ্গত, প্রতি ১০ বছর অন্তর দলগুলির স্বীকৃতি খতিয়ে দেখে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশনের (Election Commission) নিয়ম অনুযায়ী, জাতীয় দল হতে গেলে দেশের মোট লোকসভা আসনের ২ শতাংশ পেতে হয় ৩ রাজ্য থেকে। কিন্তু তৃণমূলের বাংলার বাইরে কোনও লোকসভা সাংসদ নেই। জাতীয় দল হতে গেলে অন্তত চারটি আলাদা আলাদা রাজ্য থেকে বিধানসভা বা লোকসভা নির্বাচনে অন্তত ৬ শতাংশ বা তার বেশি ভোট পেতে হয়। যেটা তৃণমূল পায়নি। জাতীয় দল হওয়ার আরেকটা উপায় আছে। সেটা হল চারটি রাজ্যে আঞ্চলিক দলের স্বীকৃতি পাওয়া। সেটার জন্যও অন্তত চার রাজ্যে ন্যূনতম ২ জন করে বিধায়ক বা ৬ শতাংশ ভোট পেতে হয়। সেটাও নেই তৃণমূলের (TMC)। আর তাই জাতীয় দলের তকমা হারাতে হল তাদের।
সিপিআই শুধু জাতীয় দলের তকমা হারিয়েছে তাই নয়, বাংলা ও ওড়িশার আঞ্চলিক দল হিসেবেও আর গণ্য হবে না তারা। একই অবস্থা বামফ্রন্টের আরেক শরিক আরএসপি-রও। তারাও বাংলার আঞ্চলিক দলের স্বীকৃতি খোয়াল।
Election Commission of India recognises Aam Aadmi Party (AAP) as a national party.
Election Commission of India derecognises CPI and TMC as national parties. pic.twitter.com/9ACJvofqj6
— ANI (@ANI) April 10, 2023
অন্যদিকে, দিল্লি এবং পাঞ্জাবে আপ বিরাট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। এছাড়াও একাধিক রাজ্যে বেশ কয়েকটি বিধায়ক ও সাংসদ রয়েছে এই দলের৷ গত গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে এটি ৬.৭৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে। গত বছর গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে দলটি পাঁচটি আসন জিতেছিল।
তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের কথায়, “নির্বাচন কমিশনের একাধিক ভুল সিদ্ধান্ত রয়েছে। তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টও ভর্ৎসনা করেছে কমিশনকে। জানিয়ে দিয়েছে, কমিশনের গঠন কেমন হওয়া উচিত। ওদের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। প্রয়োজনে আইনি লড়াই করব।”
আরও পড়ুন: Bihar violence: রামনবমীতে হিংসার ছক সাজানো হয়েছিল আগেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে, জানাল বিহার পুলিশ