ত্রিপুরায় নিজেদের জমি শক্ত করতে ‘সমীক্ষক’ সংস্থা আইপ্যাককে নিয়োগ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। উপনির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে প্রচারে নেমেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। মিমি চক্রবর্তীর মতো তারকাকেও তৃণমূল নিয়ে যায় ত্রিপুরার প্রচারে। তবে এত কিছু করেও লাভ হল না। কোনও আসন জেতা তো দূরের কথা, কোনও আসনে তৃতীয় স্থানেও আসতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। উপনির্বাচনে দলের হাল এতই খারপ যে চারটির মধ্যে তিনটি আসনে তো ১০০০ ভোটর গণ্ডিও পার করেনি তারা।
টাউন বড়দোয়ালি, আগরতলা এবং সুরমা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীরা এক হাজার ভোটের অনেক আগেই থেমে গিয়েছেন। কেবলমাত্র যুবরাজনগর কেন্দ্র থেকেই 1073 টি ভোট পেয়ে দলের মুখ কিছুটা রক্ষা করেছেন মৃণালকান্তি দেব। উল্লেখ্য, টাউন বড়দোয়ালি কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী সংহিতা ভট্টাচার্য পান 986 টি ভোট। এই কেন্দ্রে জয়লাভ করেন ত্রিপুরার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।
অপরদিকে, আগরতলা এবং সুরমা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী মান্না দেব এবং অর্জুন নমঃশূদ্রের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা 842 এবং 469। ফলে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের বার্তা ত্রিপুরাবাসীর কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি বলেই মতপ্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
ফলাফল স্পষ্ট হতেই তৃণমূলের তরফে প্রতিক্রিয়া দিলেন কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, ”কেউ যদি ভাবে তৃণমূল এই ফলাফলে হতাশ, তা কিন্তু মোটেই নয়। এই ফলাফল কিছুই প্রমাণ করে না। যদিও সাংগঠনিক স্তরে এ নিয়ে আলোচনা হবে। বিজেপি অবাধে ছাপ্পা ভোট, সন্ত্রাস চালিয়েছে। তৃণমূলের জনপ্রিয়তায় সবাই উদ্বিগ্ন। সিপিএম, বিজেপি সবাই মিলে তৃণমূলকে আটকানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু তেইশে যে বিকল্প সরকার তৈরি হবে ত্রিপুরায়, তাতে নেতৃত্ব দেবে তৃণমূলই।” এদিকে, ত্রিপুরায় তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুবল ভৌমিক জানান, ”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে আগামী দিনে ত্রিপুরায় সরকার পরিবর্তন হবেই।”
আরও পড়ুন: Maharashtra Crisis: বিদ্রোহী বিধায়কদের ওয়াই প্লাস নিরাপত্তা কেন্দ্রের, গোপন বৈঠকে শিন্ডে-শাহ-ফড়নবিশ