ভাঙা চাকাতেই দ্রুত গতিতে দৌড়োচ্ছিল দূরপাল্লার ট্রেন। বিকট শব্দ শুনে শেষে চেন টেনে ট্রেন থামালেন যাত্রীরা। এর জেরেই বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল মুম্বইগামী পবন এক্সপ্রেস। রবিবার রাতে বিহারে মুজফ্ফরপুর-হাজিপুর শাখায় এই ঘটনা ঘটেছে।
ঠিক এক মাস আগে, ২ জুন ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানগা বাজার স্টেশনের কাছে বেলাইন হয়েছিল চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। লাইনচ্যুত হয়েছিল বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসও। সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার এক মাসের মাথায় আবার ট্রেনে বিপত্তি দেখা গেল। ফলে রেলে যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে আবার প্রশ্ন উঠল। মুজফ্ফরপুর স্টেশন থেকে পবন এক্সপ্রেস ছাড়ার পরই ট্রেনের এস-১১ কামরায় বিকট শব্দ শুনতে পান যাত্রীরা। তবে কী কারণে শব্দ শোনা গেল, তা খতিয়ে দেখতে কোনও উদ্যোগ নেননি রেলকর্মীরা, এমনই অভিযোগ করেছেন যাত্রীদের একাংশ। প্রায় ১০ কিমি পর্যন্ত ট্রেনটি দ্রুত গতিতে ছোটে।
ট্রেনটি ভগবানপুর স্টেশনে থামলে ওই বগির যাত্রীরা নেমে দেখেন যে একটি চাকার উপরের অংশটি ভেঙে গিয়েছে। যাত্রীরা জানান, এরই মধ্যে ট্রেনটি হর্ন বাজিয়ে চলতে শুরু করে। তার মাঝে যাত্রীরাই চিৎকার শুরু করে ট্রেনটি থামানোর জন্য। পরে চেন টানা হয়। এরপর রেলওয়ে পুলিশ ও অন্যান্য রেল কর্মীরা এসে কন্ট্রোলরুমে খবর দেয়। যাত্রীদের সতর্কতার কারণেই বড় দুর্ঘটনা এড়ায় ট্রেনটি। নয়ত চাকার ঘর্ষণে ট্রেনের ট্র্যাক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারত। বা এই ট্রেনটি লাইনচ্যুত হওয়ার আশঙ্কাও ছিল।
ঘটনা প্রসঙ্গে রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বীরেন্দ্র কুমারও জানান, চাকা ভাঙার খবর পেয়ে ভগবানপুরে ট্রেন থামিয়ে দেওয়া হয়। মুজাফফরপুর থেকে নয়া কামরা নিয়ে আসা হয় ট্রেনের জন্য। এই আবহে ট্রেনটি প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা ভগবানপুর স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিল। রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত রেল যাত্রীরা ট্রেনের বগি পরিবর্তনের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে রেলের অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ভগবানপুর স্টেশনে পৌঁছে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন।পরে রাত ১১টা ২৮ মিনিটে ট্রেনটি মুম্বইয়ের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ভগবানপুর থেকে।
আরও পড়ুন: Opposition Meet: পরবর্তী বিরোধী বৈঠকের দিন ঘোষণা কংগ্রেসের, আমন্ত্রণ সব বিরোধী দলকে