দেশের গ্রামাঞ্চলে বেকারত্বের হার মাথা তুলতে থাকায় উদ্বেগ বাড়ছিল সমস্ত মহলে। সম্প্রতি তা সামান্য কমলেও, দুশ্চিন্তা বাড়ল শহর নিয়ে। আর তার হাত ধরেই গোটা দেশে তিন মাসের সর্বোচ্চ হল বেকারত্ব। প্রশ্ন উঠছে, আর্থিক কর্মকাণ্ড বাড়লেও কাজের বাজার চাঙ্গা হচ্ছে না কেন?
১ ডিসেম্বর গত মাসের(নভেম্বরের) পরিসংখ্যান প্রকাশ করে সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি (CMIE)। তাই থেকে মিলেছে এই তথ্য। রিপোর্ট বলছে, নভেম্বরে দেশে বেকারত্বের হার ফের ৮%। গ্রামে তা ৮.০৪% থেকে ৭.৫৫ শতাংশে নামলেও, শহরে ৭.১২% থেকে বেড়ে হয়েছে ৯% ছুঁইছুঁই।
আরও পড়ুন: Shraddha Walker: সেই দিল্লি! খুনের পর ২২ টুকরো করে ফ্রিজে রাখল স্ত্রী-পুত্র
অক্টোবরের মতোই, নভেম্বরেও দেশের সর্বোচ্চ বেকারত্বের হার হরিয়ানায়(৩০.৬%)। তারপরেই রাজস্থানে ২৪.৫ শতাংশ, জম্মু ও কাশ্মীরে ২৩.৯ শতাংশ, বিহারে ১৭.৩ শতাংশ এবং ত্রিপুরায় ১৪.৫ শতাংশ। নভেম্বরে সর্বনিম্ন বেকারত্বের হার ছিল ছত্তিশগড় (০.১%), উত্তরাখণ্ড (১.২%), ওড়িশা (১.৬%), কর্ণাটক (১.৮%) এবং মেঘালয়ে (২.১%)।
ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, পরিস্থিতি সুবিধার নয় আঁচ করেই গ্রামাঞ্চলে কর্মসংস্থান বাড়াতে মাঠে নামতে চাইছে কেন্দ্র। সরকারি সূত্রের ইঙ্গিত, ১০০ দিনের কাজের আর্থিক বরাদ্দ বৃদ্ধির কথা ভাবছে তারা। এরই মধ্যে রবিশস্যের চাষ শুরু হওয়ায় কিছুটা হলেও কাজ এসেছে মানুষের হাতে। কিন্তু শহরের অবস্থা আলাদা। সেখানে মূলত পরিষেবা ক্ষেত্রের কাঁধে চেপে আর্থিক কর্মকাণ্ডে গতি এলেও কর্মী নিয়োগের ঝুঁকি নিতে চাইছে না বহু সংস্থা। কারণ, আর্থিক অনিশ্চয়তা। সম্প্রতি দেশের মূল আটটি পরিকাঠামো ক্ষেত্রে উৎপাদন শ্লথ হওয়ার ছবিও স্পষ্ট হয়েছে কেন্দ্রের অক্টোবরের রিপোর্টে। সেখানে বৃদ্ধির হার নামমাত্র (০.১%)। সব মিলিয়ে ডামাডোল বেড়েছে কাজের বাজারেও।
আরও পড়ুন: Ravish Kumar: ‘সাংবাদিকতার ভষ্মযুগ… সব গোদি মিডিয়া’, NDTV ছেড়ে নিজের ইউটিউব চ্যানেল ঘোষণা রাবিশের