যোগীরাজ্যে এবার দাদুর লালসার শিকার হল ১৫ বছরের নাতনি। কাঠ কাটার আছিলায় মাঠে নিয়ে গিয়ে নাবালিকা নাতনিকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল ৬০ বছরের দাদুর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মুখ বন্ধ রাখতে নাতনিকে ১০ টাকা ‘ঘুষ’ও দেন। মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় শ্বশুরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন পুত্রবধূ। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগপত্রে নাবালিকার মা লিখেছেন, বুধবার সন্ধ্যায় নাবালিকা মেয়েকে নিয়ে তিনি ছাগল চরাচ্ছিলেন মাঠে। সেই সময় তাঁর শ্বশুরমশাই এসে হাজির হন এবং তাঁকে বাড়িতে অন্য কাজে পাঠিয়ে নাতনিকে কুঠার আনতে বলে কাঠ কাটতে চলে যান। নাতনি কুঠার হাতে দাদুর কাছে পৌঁছলে দাদু তাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। ধর্ষণের পর নাবালিকা নাতনিকে মুখ বন্ধ রাখতে বলে ১০ টাকা ‘ঘুষ’ও দেন।
আরও পড়ুন: Murder: নবরাত্রিতে আমিষ খাওয়ার বায়না! স্ত্রীকে খুনের পর দেহ লোপাট যুবকের
সেই সময় ওই এলাকা দিয়েই জল আনতে যাচ্ছিলেন গ্রামেরই এক বাসিন্দা। তিনি বিষয়টি আঁচ করে লোকজনকে খবর দেন। সকলে মিলে হাতেনাতে ধরে ফেলেন দাদুর কীর্তি! তার পর গণধোলাই দিয়ে দাদুকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় নাবালিকার মাকেও।
গোরক্ষপুরের গুলরিহা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক মনোজকুমার পাণ্ডে জানিয়েছেন, নাবালিকার পরিবার থানায় এসেছিল। নাবালিকার মা লিখিত অভিযোগ করেছেন তাঁর শ্বশুরের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে একটি মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত দাদুকে।
নাবালিকাকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে অভিযোগকারিণীকে আশ্বস্ত করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Air India: মাঝ আকাশে বিমানসেবিকার চুল টেনে মার, মাত্র ১৫ মিনিট উড়েই দিল্লিতে ফিরল বিমান