জোশীমঠের (Joshimath) পর এবার কর্ণপ্রয়াগ (Karnaprayag)। কর্ণপ্রয়াগের প্রায় ৫০টি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। স্থানীয় পুর কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির (Uttarakhand CM Pushkar Singh Dhami) কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে। কর্ণপ্রয়াগের বহুগুণা নগর এলাকায় বাড়িতে ফাটল ধরা ছাড়াও গত কয়েকদিনে অল্পবিস্তর ভূমিধসও (Landslide) হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ফাটল দেখা দেওয়ায় বহু পরিবার আত্মীয়দের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। কর্ণপ্রয়াগের আপার বাজার ওয়ার্ডের ৩০টি পরিবারও এই বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজ্য সরকারের কাছে তারা সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে।
সোমবার সিতারগঞ্জের বিধায়ক সৌরভ বহুগুনা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমি জোশীমঠের আশেপাশের গ্রামগুলি থেকেও একই রকম পরিস্থিতির খবর পেয়েছি, বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানান হবে। জোশীমঠ এবং কর্ণপ্রয়াগ ছাড়াও উত্তরাখণ্ডের আরও অনেক এলাকায় ভূমিধসে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ঋষিকেশ-কর্ণপ্রয়াগ রেল প্রকল্পের কারণে, শ্রীনগর-গড়োয়ালেও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: Joshimath sinking : সংকটে দেবভূমির যোশীমঠ, বসে যাচ্ছে জমি, বাড়ছে ফাটল
এদিকে, জোশীমঠে আজই ফাটল ধরা বাড়িতে ভাঙাভাঙির কাজ শুরু হয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা এই ভূমিক্ষয় ও দুর্দশার জন্য এনটিপিসির (NTPC) বিদ্যুৎ প্রকল্পকে দায়ী করে বিক্ষোভ দেখায়। এনটিপিসির তপোবন (Tapovan) বিষ্ণুগড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। আপাতত এই প্রকল্পের সমস্ত কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।হোটেল মালিকরা ইতিমধ্যেই নির্বিচারে বাড়ি ভাঙা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন। ভাঙা পড়তে চলা মাউন্ট ভিউ এবং মালারি ইন হোটেল দুটির মালিকরা জানিয়েছেন, নির্মাণ ভাঙতে গেলে এককালীন ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
ভূমিক্ষয়ে বিপর্যস্ত জোশীমঠে শুধু ঘরদোর-রাস্তাঘাটেই ফাটল ধরেছে তাই নয়, ঘরছাড়া মানুষের সঙ্গে রয়েছে অগণিত গৃহপালিত পশু। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় ভাট এদিন বলেন, গবাদি পশুদের জন্যও খামারের ব্যবস্থা করা হবে। এদিন তিনি জোশীমঠের সুনীল ওয়ার্ডে গিয়ে স্থানীয়দের অভাব-অভিযোগের কথা শোনেন।