Uttarakhand: At least 36 killed in Uttarakhand bus accident

Uttarakhand: পাহাড়ি খাদে উল্টে গেল বাস, উত্তরাখণ্ডে অন্তত ৩৬ জনের মৃত্যু

উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ি পথে বাস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। খাদে পড়ে যাওয়া বাস থেকে উদ্ধারকারী দল একের পর এক নিথর দেহ বের করে আনছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, ৪০ জন যাত্রীর মধ্যে ৩৬ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। বাকিদের আঘাত গুরুতর। তাঁদের আকাশপথে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এইমসে।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, নৈনিতাল জেলার অন্তর্গত রামনগরে সোমবার সকালে বাসটি খাদে পড়ে যায়। তারা ঘটনাস্থল থেকে যে ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, পাহাড়ি খরস্রোতা নদীর ধারে একটি বাস উল্টে পড়ে রয়েছে। বাসের অধিকাংশ তুবড়ে গিয়েছে। স্থানীয় বহু মানুষ বাস থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে যাচ্ছেন। ওই অংশে নদী গভীর না হওয়ায় অনেকে নদী পেরিয়ে বাসের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের তরফেও উদ্ধারকাজের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়েছে। উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে উত্তরাখণ্ডের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। সঙ্গে রয়েছে পুলিশও।

নিহতদের পরিবার এবং আহতদের আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। কিন্তু কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল? তার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। রাতভর পাহাড়ি পথে বাসযাত্রার পর ক্লান্ত চালকের ভুলেই কি গন্তব্যের কাছাকাছি গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারাল বাসটি? এই প্রশ্ন উঠছে।

গাড়োয়াল মোটর ওনার্স ইউনিয়নের একটি বাস ৪০ জন যাত্রী নিয়ে গাড়োয়ালের পৌরি থেকে কুমায়ুনের রামনগর, প্রায় ২৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছিল। সারারাত চলে যাত্রা। সকাল ৮টা ২৫ নাগাদ আলমোড়ার কাছে বাসটি আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ২০০ মিটার গভীর খাদে পড়ে যায়। গন্তব্য থেকে তখন দূরত্ব মাত্র ৩৫ কিলোমিটার। খরস্রোতা খাদে বাসটি প্রায় তলিয়ে দুমড়েমুচড়ে যায়। বাসে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি হয়েছিল নাকি অন্য কোনও কারণে তা নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে? এসব প্রশ্ন উঠছেই। তবে অনেকের ধারণা, রাতভর চড়াই-উতরাই পথে বাস চালাতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন চালক। মুহূর্তের অন্যমনস্কতা থেকেই কি এত বড় দুর্ঘটনা ঘটল? তদন্তেই তার উত্তর মিলবে।

আলমোড়ার জেলাশাসক অলোককুমার পান্ডে বলেন, বাসটি ২০০ মিটার খাদে গড়িয়ে পড়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দল যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে। একে একে যাত্রীদের নিথর দেহ উদ্ধার হতে থাকে। প্রথম ধাপে ২০ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়। ধীরে ধীরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৬-এ। আহতদের ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি।

উত্তরাখণ্ড সরকারের তরফে মৃতদের পরিবার পিছু ৪ লক্ষ টাকা করে এবং আহতদের ১ লক্ষ টাকা করে সাহায্য করা হবে। এদিকে, দুর্ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকেও মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।