উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) জোশীমঠে (Joshimath) কমপক্ষে ৫৬১টি বাড়িতে ফাটল ধরেছে বলে জানা গিয়েছে। জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ক্রমাগত মাটির অবনমন (Land Sinking) বা বসে যাওয়ার কারণেই শতাধিক বাড়িতে ফাটল ধরেছে। বাড়ি ভেঙে পড়ার আতঙ্কে মোট ৬৬টি পরিবারকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য,কয়েক বছর ধরেই একের পর এক ভূমিধসে বিপর্যস্ত দেবভূমি উত্তরাখণ্ড। পাহাড় কেটে নানা উন্নয়নমূলক কাজ করার কারণেই মাটি আলগা হয়ে গিয়েছে এবং বারবার ধস, হড়পা বান নামছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। জোশীমঠ পুরসভার চেয়ারম্যান সৈলেন্দ্র পাওয়ার বলেন, “জোশীমঠের ৫৬১টি বাড়িতে ফাটল ধরেছে। বর্তমানে সিংধর ও মারওয়াড়ি অঞ্চলের বাড়িগুলিতেও ফাটল ধরতে শুরু করেছে। বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কের কাছে সিংধর জৈন এলাকা ও বনবিভাগের চেকপোস্টের কাছে জেপি কোম্পানি গেট অঞ্চলে ক্রমাগত ফাটল বাড়ছে। প্রত্যেক ঘণ্টায় যত ফাটল বাড়ছে, ততই আতঙ্ক বাড়ছে।”
আরও পড়ুন: Heeraben Modi: প্রয়াত হীরাবেন মোদী, খালি পায়ে-কাঁপা কাঁপা হাতে শেষকৃত্য সারলেন প্রধানমন্ত্রী
পরিস্থিতির গুরুত্ব আঁচ করে গঢ়ওয়াল হিমালয়ের জোশীমঠের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের কথা ঘোষণা করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামি। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘‘স্থানীয় বাসিন্দাদের যাতে কোনও বিপর্যয়ের মুখে পড়তে না হয়, আমাদের সরকার তা নিশ্চিত করবে।’’
পরিবেশবিদদের একাংশ বলছেন, অপরিকল্পিত উন্নয়ন বিশেষত পাহাড়ি এলাকায় নির্বিচারে গাছ কেটে ঘরবাড়ি বানানোর ফলেই উত্তরাখণ্ডে ভুমিধস ক্রমশ বাড়ছে। তা ছাড়া জোশীমঠের ওই এলাকায় পুরনো ধসে জমা মাটির উপর বহু বাড়িঘর তৈরি হয়েছিল বলে স্থানীয় একটি সূত্রের দাবি। অতিরিক্ত নির্মাণের চাপে অপেক্ষাকৃত আলগা সেই মাটি এ বার বসে যেতে শুরু করেছে বলে ওই সূত্রের দাবি।