কয়েক দিনের বৃষ্টিতেই উত্তরাখণ্ডে ফুলেফেঁপে উঠেছে গঙ্গা। রবিবার হৃষীকেশে গঙ্গার জলস্তর বিপদসীমা ছাড়িয়ে ত্রিবেণী ঘাটের আরতি স্থলে আছড়ে পড়তেই প্রমাদ গুনতে শুরু করেছে প্রশাসন। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উত্তরাখণ্ডে আসা সমস্ত পর্যটককে সতর্ক করেছে। একই সঙ্গে গঙ্গার তীর সংলগ্ন বসতি এলাকাগুলিকেও খালি করার কাজ শুরু করেছে তারা।
মৌসম ভবন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে ওই রাজ্যের সব জেলায়। জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। এই অবস্থায় সাময়িকভাবে চারধাম যাত্রা বন্ধ থাকবে, জানিয়ে দিল স্থানীয় প্রশাসন। বিপদ এড়াতে পুণ্যার্থীরা যে যেখানে আছেন, সেখানেই আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, ১০ মে থেকে চারধাম যাত্রা শুরু হয়েছে। চলবে নভেম্বর পর্যন্ত।
বর্ষায় গত কয়েক বছর ধরে প্রায় প্রতি বারই বিপর্যস্ত হচ্ছে উত্তরাখণ্ড। ফুঁসতে থাকা গঙ্গা কখনও পার ভেঙে, কখনও তীরবর্তী ঘরবাড়িও ভেঙে নিয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রবিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত চামোলি, রুদ্রপ্রয়াগ এবং পাউরি জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। কুমায়ুনের বেশ কিছু এলাকায় অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া দেহরাদূন, তেহরি, হরিদ্বার, উত্তরকাশী এবং হৃষীকেশেও রবিবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। প্রশাসনের আশঙ্কা এই বৃষ্টি হলে গঙ্গা আরও ভয়ানক চেহারা নিতে পারে উত্তরাখণ্ডে।
তাই কোনও রকম ঝুঁকি নিতে নারাজ উত্তরাখণ্ড প্রশাসন। দ্রুত পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে তারা। সূর্যাস্তের পরে পর্যটকদের গঙ্গার তীরে বা ঘাটে যাওয়া বন্ধ করা হয়েছে। নদী তীরবর্তী এলাকা থেকে বাসিন্দাদেরও সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে। রাজ্য জুড়ে, বিশেষ করে গঙ্গা তীরবর্তী এলাকাগুলির বাসিন্দাদের নিরাপদ এলাকায় সরে যাওয়ার আর্জিও জানিয়েছে সরকার।