উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজ বার বার বাধা পাচ্ছে। শুক্রবার রাতে সম্ভবত সবচেয়ে বড় বাধাটি এসেছে। ভেঙে গিয়েছে মূল খননযন্ত্র। আমেরিকায় তৈরি ওই যন্ত্রের মাধ্যমেই সুড়ঙ্গের ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে খুঁড়ে এগোচ্ছিলেন উদ্ধারকারীরা। কিন্তু সেই যন্ত্র ভেঙে যাওয়ায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে উদ্ধারকাজ। ওই যন্ত্রকে আর কোনও ভাবেই মেরামত করা যাবে না, জানিয়ে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক সুড়ঙ্গ বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান আর্নল্ড ডিক্স। তাই এ বার অন্য রাস্তা অবলম্বন করতে হবে।
ডিস্কের কথায়, অনেক কিছু নিয়ে ভাবনাচিন্তা হচ্ছে। বিকল্প রাস্তা খুঁজে বের করতেই হবে। সূত্রের খবর, দিল্লি থেকে আনা হচ্ছে বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের পরামর্শ নিয়েই পরের ধাপ ঠিক করা হবে। আগামীকাল অর্থাৎ রবিবার সকাল থেকে ফের শুরু হবে খননের কাজ। এখন দেখার বাকি কয়েক মিটার খননের জন্য কোনও নতুন মেশিন ব্যবহার করা হয় নাকি উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা নিজেরাই খননকাজ করেন।
উত্তরকাশীর সিল্কইয়ারা সুড়ঙ্গে কাজ চলাকালীন আচমকাই ধস নামে। সেই ধসের ফলেই সুড়ঙ্গের মধ্যে আটকে পড়েন ৪১ জন শ্রমিক। দুর্ঘটনার পরপরই শুরু হয় উদ্ধারকাজ। কিন্তু ১৪ দিন কেটে গেলেও এখনও আটকে থাকা শ্রমিকদের বাইরে বের করে আনা সম্ভব হয়নি। ধসের বাধা সরিয়ে কীভাবে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনো যায়, সেই চেষ্টাই অনবরত করে চলেছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। আর যত সময় যাচ্ছে উৎকণ্ঠা বাড়ছে ভেতরে আটকে থাকা শ্রমিকদের মধ্যে।
এ দিকে, উদ্ধারকাজ বার বার থমকে যাওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে শ্রমিকদের পরিজনদের মাঝে। তাঁরা বার বার হতাশ হচ্ছেন। শ্রমিকেরা সকলেই অবশ্য সুস্থ আছেন। তাঁদের সঙ্গে পাইপের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। প্রথম দিন থেকেই খাবার, জল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। শুধু উদ্ধারের দিন পিছিয়ে যাচ্ছে বার বার।