Uttarkashi Tunnel:Uttarkashi tunnel collapse: Rescue operation halted after snag, cracking sound

Uttarkashi Tunnel: ভাঙা সুড়ঙ্গে জোরে ফাটল ধরার শব্দ!আপাতত বন্ধ ৪০ শ্রমিককে উদ্ধারের কাজ

সাতদিন হয়ে গেল,যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাতভর কাজ হলেও এখনও নাগাল পাওয়া যায়নি আটকে পড়া ৪০ জন শ্রমিকের। এরই মধ্যে আবার নতুন বাধা। শুক্রবার দুপুরে আবারও থমকে গেল কাজ। প্রতিদিনের মতো টানেলের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে পাইপ ঢোকানোর কাজ চলছিল। ড্রিল মেশিন দিয়ে সেই কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু ঘড়িতে যখন ঠিক দুপুর ২ টো ৪৫ মিনিট, তখনই শোনা গেল এক বিকট শব্দ। যেন হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ছে কিছু উদ্ধারকারীরাও ভয় পেয়ে গেলে সেই শব্দে। নির্দেশ এল কাজ বন্ধ করার।

‘ন্যাশনাল হাইওয়েজ় অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল)’ একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘শুক্রবার দুপুর ২টো ৪৫ মিনিট নাগাদ উদ্ধারকাজ চলার সময় উদ্ধারকারী দল এবং কর্মকর্তারা একটি বড় ফাটল ধরার শব্দ শুনতে পান। সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজ চালানো দলগুলির মধ্যে আতঙ্কে ছড়িয়ে পড়ে। আরও ধস নামার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। সেই অনুযায়ী আপাতত কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।’’

শ্রমিকদের উদ্ধার করতে ভাঙা সুড়ঙ্গে ধসে যাওয়া পাথরে ছিদ্র করে তিন ফুটেরও কম দৈর্ঘ্যের একটি পাইপ ঢুকিয়ে শ্রমিকদের বার করে আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। আপাতত সেই কাজও বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে এনএইচআইডিসিএল। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, শ্রমিকদের উদ্ধার করতে ৬০ মিটার পর্যন্ত গর্ত তৈরি করতে হবে। এর পর সেই গর্তে ৮০০ এবং ৯০০ মিলিমিটার ব্যাসের একটি পাইপ ঢুকিয়ে তার মধ্যে দিয়ে বার করে আনা হবে শ্রমিকদের। তবে ফাটল ধরার শব্দের পর থেকে সেই কাজ বন্ধ রয়েছে। শক্ত পাথরের কারণে খননযন্ত্রটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে থাইল্যান্ড ও নরওয়ের উদ্ধারকারী দল। ২০১৮ তে যে উদ্ধারকারী দল গুহায় আটকে পড়া শিশুদের উদ্ধার করেছিল, সেই দলকেও নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া রয়েছে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, বিআরও ও আইটিবিপি-র আধিকারিকরা।

প্রসঙ্গত, রবিবার সকালে উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলার ব্রহ্মকাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের উপর সিল্কিয়ারা এবং ডন্ডালহগাঁওের মধ্যে সাড়ে চার কিলোমিটার দীর্ঘ নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের একাংশ ভেঙে পড়ে। এর জেরেই ওই সুড়ঙ্গের মধ্যে আটকে পড়েন ৪০ জন শ্রমিক। তবে তাঁদের সুস্থ রাখতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখছেন না উদ্ধারকারীরা। সুড়ঙ্গপথে খাবারদাবার, ওষুধপত্র-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করা হচ্ছে। আটকে পড়া ৪০ জন শ্রমিকের মনোবল অটুট রাখতে নিয়মিত তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগও রাখা হচ্ছে। এত কিছুর পরেও উদ্ধারকাজের প্রক্রিয়া ক্রমশ দীর্ঘায়িত হওয়ায় ওই শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে ক্রমশ সংশয় তৈরি হচ্ছে।