হেভিওয়েট আসনগুলির মধ্যে বারাণসী কেন্দ্রটি যেন মধ্যমণি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আসন। তৃতীয়বারের জন্য এই কেন্দ্র থেকে জিতে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসা নিয়ে বরাবরই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন মোদী। তাঁর হ্যাটট্রিক বাঁধা, বলেছিলেন তাবড় বিশ্লেষকরা। তবে ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের তুলনায় কি মোদীর জয়ের ব্যবধান কমল অনেকটাই।
২০১৪ সালে মোদী এখানে জিতেছিলেন ৩ লক্ষ ৭১ হাজার ৭৮৪ ভোটে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে হারানোর পথে পেয়েছিলেন ৫৬ শতাংশেরও বেশি ভোট। পরের বার, ২০১৯-এ সেই ব্যবধান বাড়ে অনেকটাই। সেবার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শালিনী যাদবকে ৪ লক্ষ ৭৯ হাজার ৫০৫ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন মোদি। ভোট পেয়েছিলেন ৬৩.৬২ শতাংশ।
সেই তুলনায় এবার (Lok Sabha Election 2024) মোদির (PM Modi) জয় ‘মাত্র’ ১.৫২ লক্ষ ভোটে। মনে রাখতে হবে, অজয় রাই নিয়ে এই নিয়ে এই শহরে তৃতীয় বার নির্বাচনে লড়লেন। কিন্তু প্রতিবারই তিনি হেরেছেন। সুতরাং প্রার্থী হিসেবে যে তিনি খুব দরের নয়, তা বলাই যায়। তাৎপর্যপূর্ণভাবে নরেন্দ্র মোদী নিজের কেন্দ্রে প্রাথমিক ট্রেন্ডে পিছিয়ে ছিলে। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত পোস্টার ব্যালটের গণনায় দেখা গিয়েছিল অজয় রাইয়ের থেকে এক লাখেরও বেশি ভোটে পিছিয়ে ছিলেন তিনি। তবে ধাক্কা সামলে নেন পরবর্তী রাউন্ডগুলিতে। EVM খুলতেই তাঁর ব্যবধান হু হু করে বাড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত হ্যাটট্রিক করেন নমো। কিন্তু এক ধাক্কায় নরেন্দ্র মোদীর জয়ের মার্জিন কমল ৬৮ শতাংশ।
এবারে মোদীর পারফরম্যান্স যে গত দুবারের তুলনায় অনেকটাই নিষ্প্রভ, তা অতি বড় ভক্তও মেনে নেবেন। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ তো মোদীকে খোঁচা মেরে বলেছেন, ”উনিই তো বলেন, আমি গরিব মানুষ, ঝোলা কাঁধে তুলে বেরিয়ে যাব। সময় এসে গিয়েছে। আপনার ঝোলা কাঁধে তুলে নিয়ে হিমালয়ের পথে বেরিয়ে পড়ুন।”