শিল্পপতি বেণুগোপাল ধূতকে (Venugopal Dhoot) গ্রেপ্তার করল সিবিআই (CBI)। ঋণ জালিয়াতির (Loan Fraud Case) অভিযোগে ভিডিওকন কর্তা বেণুগোপালকে গ্রেপ্তার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আইসিআইসিআই ব্যাংক থেকে ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকার ঋণ নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে বেণুগোপালের বিরুদ্ধে। একই মামলায় আগেই ব্যাংকের সিইও তথা এমডি চন্দা কোচরকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। চন্দার স্বামী দীপক কোচরকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার চন্দা এবং তাঁর স্বামী দীপককে মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতে হাজির করিয়েছিল সিবিআই। তাঁরা ৩ দিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন। এর পরই সোমবার গ্রেফতার করা হয় বেণুগোপালকে। সম্প্রতি শোরগোল ফেলে দিয়েছে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের ওই ঋণ প্রতারণার মামলা। এ বার পর পর গ্রেফতারির জেরে নতুন মোড় নিল ওই ঘটনা।
আরও পড়ুন: Mallikarjun Kharge: আপনাদের বাড়ির একটা কুকুরও কি দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে? বিজেপিকে প্রশ্ন খাড়গের
অভিযোগ, ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকার ঋণের অনুমোদন হওয়ার কয়েকদিন পরই দীপক কোচরের নিউ পাওয়ার রিনিউয়েবলে বিনিয়োগ করেন বেণুগোপাল। এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন প্রধান চন্দার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। আইসিআইসিআই কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, সংস্থার আচরণবিধি, স্বার্থরক্ষার নীতি ভঙ্গ করেছেন চন্দা। এরপর চন্দাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক থেকে। আর কয়েকদিন আগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এর আগে মুম্বইয়ের ফ্ল্যাট, একটি কম্পানির সম্পত্তি সহ মোট ছন্দার মোট ৭৮ কোটির সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। ইডি-র অভিযোগ, দীপক কোচরের সংস্থা নিউপাওয়ার রিনিউয়েবলস প্রাইভেট লিমিটেডে মোট ৬৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে ভিডিয়োকন গ্রুপ, যা মূলত ঘুষ হিসেবে দেওয়া হয়েছিল।
২০১৯ সালে সিবিআই এই মামলায় এফআইআর দায়ের করেছিল। এই আবহে শুক্রবার কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার সদর দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল চন্দা এবং দীপককে। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁদের থেকে সন্তোষজনক কোনও উত্তর না পেরে শেষমেশ গ্রেফতারির সিদ্ধান্ত নেয় সিবিআই। রবিবার চন্দা এবং তাঁর স্বামী দীপককে মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতে হাজির করিয়েছিল সিবিআই। তাঁরা ৩ দিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: Viral Video: ‘আমাকে বিয়ে করবে?’ প্রশ্ন শুনেই প্রেমিকার মুখে লাথি যুবকের