বাগানে খেলছিল গ্রামের বাচ্চারা। অভিযোগ, তাতেই সংযম হারিয়ে গুলি চালান বিহারের বিজেপি (BJP) মন্ত্রীর ছেলে। আর আতঙ্কের জেরে হওয়া হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে এক শিশু-সহ আহত হন ছ’জন। তারপরই অভিযুক্তকে বেদম মারধর করে ক্ষিপ্ত জনতা। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের পশ্চিম চম্পারণ জেলায়।
জানা গিয়েছে, বিহারের বিজেপি নেতা তথা পর্যটন মন্ত্রী নারায়ণ শাহের ছেলে বাবলু কুমার এই ঘটনাটি ঘটিয়েছেন। পশ্চিম চম্পারণ জেলার হারদিয়া গ্রামে ওই মন্ত্রীর একটি বাড়ি রয়েছে, তারই বাগানে এই ঘটনাটি ঘটে। বাড়ির মাঠে বাচ্চারা যখন ক্রিকেট খেলছিল, তখন বাবলু কুমার সেখানে হাজির হয় এবং তাদের অনত্র চলে যেতে বলেন। কিন্তু বাচ্চারা সেই কথা না শোনায়, তাদের বাগান থেকে তাড়াতেই শূন্যে গুলি চালায়। গুলির শব্দেই হুড়োহুড়ি শুরু হয়। পদপিষ্ট হয়ে এক শিশু সহ মোট ৬ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: টেলিপ্রম্পটার বিভ্রাটের পর কি আত্মবিশ্বাসে চিড়! মুখ ফস্কে ‘বেটি পটাও’ বললেন মোদী
Bihar BJP Minister Narayan Prasad's son Bablu,opened gun fire on village kids playing cricket in Hardia village,Bettiah. Is this Democracy? Where are poor small kids playing cricket are thretenened with Gun? Plzz respond @RahulGandhi @yadavtejashwi pic.twitter.com/cdmWUWxC5s
— Kumar (@brightgaurav) January 23, 2022
একটি ভিডিয়োয় দেখা যায়, বাবলু কুমার মাঠে বাচ্চাদের তাড়া করছেন, তাঁর হাতে একটি রাইফেল ধরা। অপর একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, গ্রামবাসীরা এক ব্যক্তিকে তাড়া করছেন। সামনেই দাঁড়িয়ে থাকা সরকারি গাড়ি দেখে তার উপরও চড়াও হয় গ্রামবাসীরা, ভেঙে দেওয়া হয় মন্ত্রীর নেমপ্লেট। এরপরই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যান বিহারের পর্যটনমন্ত্রীর ছেলে।
অন্যদিকে, মন্ত্রী নারায়ণ শাহের দাবি, তিনি পারিবারিক জমি দখলের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গেলে গ্রামবাসীরা তাদের উপর চড়াও হয় এবং সঙ্গে থাকা বন্দুকও কেড়ে নেয়। ওই বন্দুকের লাইসেন্স রয়েছে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, “গুলি চালানোর দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমাদের জমি জবরদখল করে নেওয়ার চেষ্টা করছে গ্রামবাসীরা। আমার সম্মানহানি করতেই রাজনৈতিক চক্রান্ত করা হচ্ছে।”
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গোটা ঘটনার পরই এলাকাজুড়ে কড়া পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আহত গ্রামবাসীদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যে বন্দুকটি দিয়ে গুলি চালানো হয়েছিল, তাও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিজেপিতে যোগ দিতেই মিলল ইনাম! ২০১৪ সালের পর প্রথম মুসলিম প্রার্থী যোগীরাজ্যে