রথম টেস্টের চতুর্থ দিন মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগেই শেষ হয়ে গেল বাংলাদেশের প্রতিরোধ। নাজমুল হোসেন শান্ত এবং শাকিব আল হাসান সকালের প্রথম এক ঘণ্টা সাবধানে ব্যাট করলেও লাভ হল না। জলপানের বিরতির পর শাকিবকে রবিচন্দ্রন অশ্বিন আউট করতেই ভেঙে পড়ল বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস।
ব্যাটে ও বলে দাপট দেখালেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। আর সেই কারণে চিপকে মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে লড়াইয়ে ফেরান অশ্বিন। তাতে সঙ্গ দেন জাদেজাও। তারপরে বল হাতে দুই স্পিনারের ঘূর্ণিতে ধরাশায়ী হয়ে যায় বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে ১১টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১৩৩ বলে ১১৩ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। পরে শেষ ইনিংসে ২১ ওভার বল করে ৮৮ রানের বিনিময়ে তুলে নেন ৬টি উইকেট। সঙ্গত কারণেই চেন্নাই টেস্টের প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হন অশ্বিন।
৬২.১ ওভারে রবীন্দ্র জাদেজার বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন হাসান মাহমুদ। ১৪ বলে ৭ রান করেন তিনি। মারেন ১টি চার। জয়ের জন্য ৫১৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা সামনে নিয়ে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ তাদের শেষ ইনিংসে অল-আউট হয় ২৩৪ রানে। অর্থাৎ, ২৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জেতে ভারত। অশ্বিন ২১ ওভার বল করে ৮৮ রানের বিনিময়ে ৬টি উইকেট ধকল করেন। জাদেজা ৫৮ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নেন। ২৪ রানে ১টি উইকেট নেন জসপ্রীত বুমরাহ। চেন্নাই টেস্টে জয়ের সুবাদে ভারত ২ ম্য়াচের সিরিজে ১-০ লিড নিয়ে নেয়।
একা হাতে লড়াই করলেও শেষরক্ষা করতে পারেননি বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমূল হোসেন শান্তো। ৮২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তাঁর ১২৭ বলের ইনিংসে ছিল ৮টি চার এবং ৩টি ছক্কা। জাদেজার বলে ক্যাচ আউট হন শান্তো। অপরদিকে লিটন দাস (১), মেহদি হাসান মিরাজ (৮), তাসকিন আহমেদ (৫), হাসান মাহমুদেরা (৭) পর পর আউট হয়ে যান। ভারতীয় বোলারদের সামনে শান্তো ছাড়া কেউই টিকতেই পারল না ক্রিজে। যার ফলে ভারত চারদিনের মধ্যেই চিপকের মাঠে জয়ের স্বাদ পেয়ে সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল।
৬ উইকেট নিয়েছেন অশ্বিন। ব্যাটে ও বলে প্রথম টেস্টে অনবদ্য পারফরমেন্সের জন্য ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার হয়েছেন তিনি। প্রথম ইনিংসে উইকেট না পেলেও সেঞ্চুরি করে সকলের মন জয় করেছিলেন অশ্বিন। আর দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর স্পিনের জাদুতে কুপোকাত হয়েছে বাংলাদেশ।